মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটেও এগিয়ে থাকলেন প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সেকেন্ড রাউন্ডে ১০১ ভোটে এগিয়ে গেলেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ ভোট পান।
ঋষির পরেই আছেন জুনিয়র বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডন্ট। তিনি ৮৩টা ভোট পেয়েছেন। আর তার পরেই ৬৪ ভোট পেয়ে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। অ্যাটর্নি জেলারেল সুয়েলা ব্রেভমেন ২৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যান। বুধবারও প্রথম রাউন্ডের পরে সর্বোচ্চ ভোট তিনিই পেয়েছিলেন। এদিন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ৮৮টি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। এদিনও সুয়েলা সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পেনি মর্ডান্ট প্রথম স্থানে থাকা ঋষি সুনাকের সাথে ব্যবধান আরো কমিয়ে আনতে পারেন। কারণ পাঁচজন টরি নেতৃত্ব প্রতিযোগী শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি টিভি বিতর্ক শোডাউনের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
টোরি এমপিদের বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় ব্যালটে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বাদ পড়ায় প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব তৃতীয় স্থানের লিজ ট্রাসের চেয়ে আরো এগিয়ে গিয়েছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল পাঁচজন সমর্থককে হারিয়েছেন, যখন মিসেস মর্ডান্ট ১৬ জন অতিরিক্ত সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন। বরিস জনসনকে প্রতিস্থাপন করার প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রীকে ৮৩ ভোট দিয়েছেন। প্রাক্তন চ্যান্সেলর সুনাক ১০১ সমর্থক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, বুধবারের প্রথম রাউন্ডের ভোটে তিনি পেয়েছিলেন ৮৮ জনের সমর্থন। পররাষ্ট্র সচিব ট্রাস বুধবারের ব্যালটে ৬৪ ভোট পেয়েছেন, যা ১৪টি বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে নাদিম জাহাবী এবং জেরেমি হান্ট রেস থেকে বাদ পড়েছেন।
সুনাক বলেছেন যে, তিনি দ্বিতীয় ব্যালটের পরে তার সহকর্মীদের সমর্থনের জন্য ‘কৃতজ্ঞ’ ছিলেন, যা তাকে চূড়ান্ত দুটিতে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ১২০ ভোটে শেষ করে দেয়, যারা পরবর্তী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিতে টোরি সদস্যদের ভোটের মুখোমুখি হবে। প্রসঙ্গত, ঋষি সুনকের বয়স ৪২। বরিস জনসনই তাকে নির্বাচন করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পূর্ণ মন্ত্রিসভা পদ অর্থাৎ রাজকোষের চ্যান্সেলর নিযুক্ত করা হয় ঋষিকে। মহামারি চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি।
উল্লেখ্য, স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং ব্রিটেনের জীবনযাত্রার খরচের সঙ্কটে প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে মাঝেমাঝেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঋষি। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় ঋষির। ঋষি সুনকের দাদা ও দাদি পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ঋষি। তাদের দুই কন্যাও রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়াশোনা করা কালীন তাদের আলাপ হয়। সেই ঋষি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তা হলে তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।