Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঈদ যাত্রায় কোথাও স্বস্তি আবার কোথাও ভোগান্তি

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২২, ৭:১২ পিএম

ঈদ যাত্রায় নারীর টানে বাড়ি ফেরার নানা ভোগান্তিও সহ্য করতে হচ্ছে যাত্রীদের। সড়কের যানজট ঈদযাত্রার বড় বিড়ম্বনা। তবে এবারের ঈদযাত্রায় তীব্র ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ সাভার ছাড়েন।
শুক্রবার সকাল থেকে তেমন ভিড় না থাকলেও বিকালে দিকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় কিছুটা বাড়তে থাকে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজট চোখে না পড়লেও নবীনগর-বাইপাইল ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কোথাও পরিবহনগুলো একটু একটু করে চলছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা সুগম ও আনন্দঘন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গাবতলী থেকে ঢাকা-আরিচা হয়ে উত্তরবঙ্গ, নবীনগর থেকে চন্দ্রা হয়ে উত্তরবঙ্গ যাবার সকল গুরুতুপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পোশাক শ্রমিক কবির হোসেন বলেন, রংপুরে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাইপাইলে অপেক্ষা করছি। তবে শুনতেছি চন্দ্রা এলাকায় ব্যাপক যানজট। বৃহস্পতিবার কারখানার ছুটি হলেও যানজটের কারনে যাইনি। ভাবছি আজ যানজট কম থাকবে এজন্য রওনা হয়েছি। বাইপাইলে যানজট না থাকলেও শুনতেছি চন্দ্রা-গাজিপুরে নাবি ব্যাপক যানজট।
দুপুরের পর থেকেই বাইপাইলে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। আশুলিয়ার বাইপাইলে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি আসমা বেগম। কোনো উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েছেন গরুর ট্রাকে। ট্রাকে উঠেই আরেক ভোগান্তিতে পরেন আসমা। কোরবানির পশুর খালি ট্রাকে ভিতরে দুর্গন্ধ-অপরিস্কার, নাক চেপে অস্বস্তির যাত্রা তাঁর। কেবল আসমা নয়, এরকম আরও অনেককেই পশুবাহী ট্রাকে করে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, বিকাল সাড়ে ৫টার পর থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে শত শত ঘরমুখী মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। দুই একটা বাস এলেও উপচে পড়ছে যাত্রীরা। বাড়তি ভাড়া দিয়ে দুই-চারজনকে উঠালেও তাদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তবে কোরবানির হাটে পশু নামিয়ে দিয়ে ফিরতি পথে প্রায় ট্রাকই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে নবীনগর-বাইপাইল ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার গাড়ীর জন্য অপেক্ষায় অশংখ্য যাত্রী।
বাইপাইল থেকে উত্তরবঙ্গমুখী সড়কে যাত্রীবাহী যে বাস আছে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ঘরমুখো মানুষ বেছে নিচ্ছেন গরুর ট্রাক।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, সকালের দিকে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও বিকালের দিকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। আমরা ও ট্রাফিক পুলিশসহ জেলা পুলিশ যথেষ্ট চেষ্টা করছি যেনো মানুষ কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নিজ গন্তব্যে পৌঁছেেত পারে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ