পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো ভরে উঠেছে শীতকালীন বাহারী সব সবজিতে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থকলেও সে তুলনায় কমছে না দাম। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে শীতের সবজির দাম মোটামুটি একই রকম। কাঁচামরিচ ছাড়া অন্য সব সবজির দাম না কমে বরং বাড়ার প্রবণতাও দেখা গেছে।
তবে সরবরাহ বাড়ার পরেও দাম না কমাকে বিক্রেতাদের কারসাজি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। কিন্তু খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পাইকাররা সিন্ডিকেট করে দাম কমাচ্ছে না শীতকালের সবজির। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা এসব কথা বলেন। ত্রেুতা রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, শীত যত ঘনিয়ে আসবে সবজির দাম কমবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রায় একমাস যাবত একই দামে সবজি কিনছি, কমার কোনো লক্ষণ নেই। এর মূলে তিনি কারসাজির কথাই বলেছেন।
এদিকে পলাশী বাজারের ব্যবসায়ী আজিজ বলেন, পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। গ্রাম থেকে তারা কম দামে সবজি নিয়ে এসে, রাজধানীতে দ্বিগুণ দামে আমাদের কাছে বিত্রিু করছে।
গতকাল রাজধানীর হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান ও পলাশী বাজার ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি পণ্য ছাড়া প্রায় সব ধরণের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেবল কাঁচামরিচ এবং টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমে গতকালের বাজারে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে এবং টমেটো ২০ থেকে ৪০ টাকা থেকে কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া আলু এবং পেঁপে বাদে অন্য সব সবজি ও তরকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালো বেগুন ৮০ টাকা, সাদা বেগুন ৬০ টাকা, প্রতি কেজি শিম (বিচি ছাড়া) ৮০ টাকা, শিম (বিচিসহ) ১২০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, শশা ৮০ টাকা, আলু ২৮-৩০ টাকা এবং পেঁপে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, জালি ৪৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, পটল ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচাকলা ৩৫-৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু হালি প্রতি ২০ টাকা, আঁটি প্রতি পালং শাক ২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা এবং লাউশাক ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামেও কোনো পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা এবং ছোলা ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩৮ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, দেশি আদা ১৮০ টাকা, বিদেশি আদা ৬০-৬৫ টাকা, দেশি রসুন ১৫৫ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা; লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা; পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় এ বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৪৫০ টাকা; কাতলা ৩০০-৫০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা; সিলভার কার্প ১৬০-২০০ টাকা; পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা; টেংরা ৮০০ টাকা; চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা ও দেশি মাগুর ৬০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ প্রতিজোড়া (মাঝারি) ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা; পারিজা চাল ৪০-৪২ টাকা; মিনিকেট ৪৬-৪৮ টাকা; বিআর আটাশ ৪০-৪৪ টাকা; নাজিরশাইল ৪৮-৫০ টাকা; বাশমতি ৫৮ টাকা এবং পোলাও চাল মান ভেদে ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।