পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। মালিবাগ, শান্তিনগর এবং মগবাজার পিয়ারাবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো, শিম, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রচুর পরিমাণে থাকলেও দাম এখনো আগের মতোই আকাশ ছোঁয়া।
পলাশী বাজারের সবজি বিক্রেতা খোকন জানান, কয়েকদিন আগে নিম্নচাপের কারণে শীতের সবজি সরবরাহ কম ছিল। এ জন্য বাজারে দাম আগে মতই বেশি আছে। তবে কয়েদিনের মধ্যে আবার ঠিক হয়ে যাবে।
টমোটে গত সপ্তাহের মতো টমেটো ৮০, শিম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কপি প্রতি পিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে শীতকালীন সব ধরনের সবজি আসছে। তবে দাম এখনো আগের মতই আছে। কি কারণে দাম বেশি আছে তিনিও তার উত্তর দিতে পারেন নি।
কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ছোট ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও লেবু ২০ থেকে টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লালশাক, লাউশাক, পালংশাক, মুলাশাক, কুমড়াশাক, ডাটাশাকসহ নানা ধরনের শাকের আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং লেটুস পাতা প্রতিটি ২০ টাকা, চায়নাশাক ২০ টাকা, পুদিনাপাতা ১০০ গ্রাম ২৫ টাকা, ধনে পাতা প্রতি ১০০ গ্রাম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, চায়না বড় রসুন ১৯০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, একদানা রসুন ১৫০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৩৫ টাকা, ভারতীয় মশুর ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৫৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, চিনি ৫০ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা ১১৫ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি নাজিরশাইল চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪২ টাকা, জিরা নাজির ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, চিনি গুড়া ১১০ টাকা, পারিজা ৩৮ টাকা, বিআর-২৮ ৪৩ টাকা, বিআর-২৯ ৪৩ টাকা, হাসকি ৪২ টাকা, স্বর্ণা ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি আইর মাছ ৩০০ টাকা, বাইম ৪০০ টাকা, ফলুই ৩৫০ টাকা, গুলশা ৩৫০ টাকা, কাইবা ২৫০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, কাজুলি ৩০০ টাকা, পুটি ৩০০ টাকা বেলে ৩৫০ টাকা, মেনি ৪০০ টাকা, দেশি কই ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, গজাল ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, ভেদা ৩০০ টাকা, মলাঢেলা ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৫০ টাকা, সুরমা মাছ ১৬০ টাকায় ও শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।
এছাড়া ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের বেশি প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, জাটকা ইলিশ ৩০০ টাকা, চন্দনা ইলিশ ১৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চায়না পুটি ১২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের প্রতিটি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ থেকে ৩৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫৫ টাকা, হাঁস ৩০০ টাকা, ভেড়া ও ছাগীর মাংস ৪৫০ টাকা এবং কবুতরের বাচ্চা ২৫০ টাকা জোড়া হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আপেল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়, মালটা ১৫০ টাকা, আঙুর ৪৫০ টাকা, প্রতি ডজন কমলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেদানা ২৫০ টাকা, পেয়ারা ১৫০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আমলকি ১৫০ টাকা, সফেদা ৮০ টাকা, জলপাই ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।