পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পবিত্র রমজান ও ঈদের পরে দুই সপ্তাহ না যেতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলাতে উৎপাদন পর্যায়ে সবজির দাম একেবারে কম হলেও রাজধানীর বাজারে বাড়ছে দাম। প্রতি কেজি ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই রাজধানীর বাজারে। কেজিতে আরো ২ টাকা করে বেড়েছে চিনির দাম। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমতি মাছ ও গোসতের বাজার স্থিতিশীল। বেশির ভাগ মুদি পণ্যের দামও রয়েছে আগের মতোই।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। এর আগে রোজার মাঝ থেকে ঈদ পর্যন্ত স্থিতিশিল ছিল ডিমের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হালিতে ২ টাকা বেড়ে ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায় এবং দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম হালিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদের পরে ফের বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম বাড়তি। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি পটল, বেগুন, করলা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গাসহ বেশির ভাগ সবজি কেজি প্রতি গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুমে সবজির দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। অথচ বাজারে বেশির ভাগ সবজির জন্য কেজি প্রতি ৪০ টাকার বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০-৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা. পেঁপে ৪০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি চাল কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৮ টাকা, দেশি রসুন ১৩০, আমদানি করা রসুন ১৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের মধ্যে কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, ভারতীয় মোটা মসুর ডাল ১০০-১১০ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা, ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের দাম প্রায়ই স্থিতিশীল রয়েছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫-৯০ টাকা, সুপার ৬৩-৬৫ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতিটি ৫ লিটারের বোতল ৪৪৫ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২৫০- ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, এবং দেশি মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৪০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। এছাড়া মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, বিআর-২৮ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং লতা ৩৮ থেকে ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচেছ। সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারিভোগ প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, কালো জিরা চাল খোলা ৮০-৮৫ টাকা এবং প্যাকেট প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে আরেক দফা কমলো ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। ওই দামের চেয়ে আরও ১০ টাকা কমে চলতি সপ্তাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ঈদের পর থেকে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কিছুটা কম থাকায় দাম কমেছে। তাছাড়া বাজারে মুরগির আমদানিও আগের চেয়ে বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।