রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে
কুমিল্লার বাজারগুলোতে সবধরনের সবজির দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। বাজারে সবজি ভরপুর। অথচ দাম নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। শীত আসতে এখনো অনেকদিন বাকি থাকলেও কিছু কিছু শীতের সবজির দাম এতই গরম যে, হাত দেয়া যায় না। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান না থাকায় সবজির দাম কখনো স্থিতি থাকে। আবার কখনো দাম বাড়ছে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী চক্র সিন্ডিকেট করে ইচ্ছেমতো সবজির দাম বাড়াচ্ছে। বর্ষা-বৃষ্টি হরতাল-অবরোধ কিছুই নেই। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই কুমিল্লার বাজারগুলোতে গত একমাস ধরে সবধরনের সবজি বেশি দরে বিক্রি করছে দোকানিরা। বিশেষ করে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সবজির দাম অত্যধিক বেশি থাকে। কুমিল্লা নগরীর বাজারগুলোতে ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির কিছু আইটেম বাজারে এসেছে। কিন্তু দাম বেশি। ক্রেতারা কারণ জানতে চাইলে দোকানিদের একই কথা আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ওই একই অজুহাতে গত একমাস ধরে সবজির বাজারে দাম চড়া রেখে চলেছে দোকানিরা। নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, নিউমার্কেট, বাদশা মিয়ার বাজার, রানীরবাজার, টমছমব্রিজ-রামমালা রোডের বাজার, বিশ্বরোড বাজার, মগবাড়ি মোড়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো, শীম, বরবটি, ঢেঁড়শ, করল্লা, পটোল, কচুমুখী, কচুরলতি, ধুন্দল, ঝিঙা, বেগুন, গাজর, কাকরোল, মূলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে এসব সবজির দাম বর্তমান দরের অর্ধেক ছিল। রাজগঞ্জ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, গত একমাস ধরেই সবজির দাম বাড়তি। শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে না আসা পর্যন্ত নাম কমবে না। তবে সবজির দাম সপ্তাহে কিছুটা কমে আবার বেড়ে যায়। যেসব সবজির মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে এগুলোর দাম এবং শীতের কিছু নতুন সবজির দাম বেশি। দোকানিদের বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কেননা, আড়তেই পাইকারি দাম বেশি। বিক্রেতারা দাবি করে বলেন, বাজারে সবজি দোকানিদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। কুমিল্লায় সবজির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার নিমসারের কয়েকজন আড়তদার ও রাজগঞ্জ বাজারের আড়তদাররা জানান, দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজাসহ এসময়ে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। তবে এবারে সবজির দাম অন্যান্য বছরের তুলানায় দ্বিগুণ বেড়েছে এটা সত্যি। তার কারণ হিসেবে আড়তদাররা জানান, দেশের যেসব স্থানে সবজি উৎপাদন হয় সেখানে এবারে বন্যা হয়েছে। তাই সবজির ফলন কম হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কুমিল্লা অঞ্চলের উৎপাদিত সবজি বাজারে ভরপুর হলে দাম আস্তে আস্তে কমে আসবে। তবে আজ (শুক্রবার) সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সামনে আস্তে আস্তে আরো কমবে। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, আড়তদার ও দোকানিরা মিলে সিন্ডিকেট করেই সবজির দাম বাড়িয়েছে। সবজির সরবরাহ কম আড়তদারদের এমন যুক্তি সঠিক না। কুমিল্লা অঞ্চলে সবসময় সবজির ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। কুমিল্লায় উৎপাদিত সবজিই দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে, চাহিদা মেটাচ্ছে। আর কুমিল্লার মানুষ বেশি দামে সবজি কিনছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এবং অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান না হওয়ায় সবজি বাজার এখন নিম্ববিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাছে আতঙ্ক ও অস্থিরতার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।