পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শীতের আগে রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একই অবস্থা মাছ বাজারেও। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা চড়া ইলিশের দাম। এছাড়া বেড়েছে অন্যান্য মাছের দামও। চালের বাজারের অস্বস্তি কিছুতেই কমছে না। রবং গত দু’মাস ধরে প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে। বিক্রেতাদের দাবি, শীত শুরুর আগে প্রতিবারই সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে। তবে শীতে দাম কমবে বলে জানান তারা। যদিও এ বিষয়ে মোটেও আস্থা নেই ক্রেতাদের।
খুচরা ব্যবসায়ী মজিদ জানান, দাম বেশি হলেও বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো সঙ্কট নেই। বিক্রিও হচ্ছে হরদম। পলাশী বাজারের কাঁচাপণ্যের ব্যবসায়ী আমির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বাজারে এখন সব পণ্যের দামই বেশি। তবু বেচাকেনা ভালই।
ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে বর্তমানে ২৮ টাকা কেজির মোটা চাল ৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দু’মাস আগে ২৮ টাকা কেজি হিসাবে এক মণ চালের দাম ছিল ১১২০ টাকা। এখন সেই চাল কিনতে হচ্ছে ১৬০০ টাকায়। একইভাবে মানভেদে সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি সাত থেকে সাড়ে সাত টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিল মালিকের কাছে চালের বাজার জিম্মি হয়ে পড়েছে।
রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, পলাশী ও কচুক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০, গাজর ৯০ থেকে ১০০, শসা ৬০ থেকে ৮০, করলা ৬০ থেকে ৭০, ঝিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০, পটল ৭০ থেকে ৮০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, ঢেঁড়স ৭০, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০, বরবটি ৮০, কচুর ছড়ি ৬০ থেকে ৭০, লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সাদা গোল আলুর দামও। শুক্রবার প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব আলুর দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
এদিকে, বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, দেশি রসুন ৯০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
অপরদিকে, বাজারে ডিমের দাম সামান্য বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি হাসের ডিম ৪০ টাকা। তবে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম (সাদা) ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা । গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বাজারে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।