পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মাদারীপুর থেকে আবুল হাসান সোহেল : মাদারীপুরের হাট-বাজারগুলোতে সবজির দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছতে সবজির দাম বেড়ে দুই-তিন গুণ হয়ে গেছে। অধিক লাভের আশায় মুনাফাখোররা ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ ভোক্তাদের। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের উৎপাদিত প্রতি কেজি মুলা ১০ টাকা, বরবটি ২৫-২৬ টাকা, শীতকালীন শিম ৪৫-৫০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫-১৬ টাকা, লালশাক ৮-১০ টাকা, ঘিকাঞ্চন শাক ৮-১০ টাকা, পেঁপে ৮-১০ টাকা, বাঁধাকপি ২৪-২৫ টাকা, ফুলকপি ৬৫-৬৬ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫-২৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৮-২০ টাকা, ঝিঙে ১৫-১৬ টাকা দরে বিক্রি করছে।
অথচ পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মুলা ১৬ টাকা, বরবটি ৩৬ টাকা, শীতকালীন শিম ৬৫ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, পালংশাক ১৮-২০ টাকা, লালশাক ১০-১২ টাকা, ঘিকাঞ্চন শাক ১৫-১৬ টাকা, পেঁপে ১৩-১৪ টাকা, বাঁধাকপি ২৮-৩০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৭৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৩৫-৩৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৭-২৮ টাকা, ঝিঙে ১৮-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এসব পণ্য খুচরা বাজারগুলোতে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মুলা ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি শিম ৪৮-৫০ টাকা, শীতকালীন শিম ১০০ টাকা, বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, পালংশাক ৩৫-৪০ টাকা, লালশাক ২৮-৩০ টাকা, ঘিকাঞ্চন শাক ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৮০-৯০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪৮-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৮-৪০ টাকা, ঝিঙে ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মুলা ২০-২৫ টাকা, বরবটি শিম ৩৮-৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ৮০-৮৫ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, পালংশাক ২০-২৫ টাকা, লালশাক ২৫-২৬ টাকা, ঘিকাঞ্চন শাক ২২-২৪ টাকা, পেঁপে ১৪-১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩৮-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-২৮ টাকা, ঝিঙে ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। জানা গেছে, যশোর ফরিদপুর শরীয়তপুর বিভিন্ন মোকামের শাক-সবজি মাদারীপুরের চাহিদা মেটায়। মাদারীপুরের পাচখোলা গ্রামের আবদুল করিম জানান, ৩-৪ মাস আগে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে যায়। এতে অধিকাংশ গাছ মরে যায়। পরবর্তীতে নতুন করে গাছ লাগানোর পর ফল এসেছে। বিভিন্ন মোকামে ও খুচরা বাজারে শাক-সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও আমরা তার ফল পাচ্ছি না। আমাদের অর্ধেক দামে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। কালকিনির গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা চাষি আবুল হোসেন, একই এলাকার চাষি মো. মজিবর একই কথা বলেন। মাদারীপুর জাফরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা পুরানবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ফোরকান বেপারী জানান, পাইকারি কাঁচা বাজারে সবজির সংকট থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারের দামের অনেক তফাৎ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।