মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই দেশটির ১৪৪ জন সেনাকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া। বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্ত এসব সেনা ইতোমধ্যেই তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরেছেন। রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া এসব সেনাদের মধ্যে মারিউপোলের সেই আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা থেকে আটক যোদ্ধাদের ৯৫ জন রয়েছেন। -রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সংক্ষিপ্তভাবে জিইউআর নামে পরিচিত। বুধবার টেলিগ্রামে সংস্থাটি জানায়, মুক্তি পাওয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের বেশিরভাগই গুরুতরভাবে আহত। তাদের কেউ বন্দুকের গুলি, বিস্ফোরণের আঘাত, পোড়া, হাড় ভেঙ্গে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
রয়টার্স বলছে, বন্দি বিনিময় নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে পূর্ব ইউক্রেনের স্ব-ঘোষিত ডোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান বলেছেন, তারা নিজেদের যোদ্ধা এবং রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যসহ ১৪৪ সেনার মুক্তি নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর একই সংখ্যক বন্দিকে কিয়েভের কাছে হস্তান্তর করেছি। এসব বন্দিদের বেশিরভাগই আহত ছিলেন।’
আরও শতাধিক ইউক্রেনীয় এখনও পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া এবং তার মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি রয়েছেন বলে মনে করা হয়। তবে তাদের সঠিক অবস্থান এখনও জানা যায়নি। ডয়চে ভেলে বলছে, ইউক্রেন প্রশাসন প্রথম জানায়, ১৪৪ জন সেনাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে মারিউপোলের সেই আজভস্টাল স্টিল কারখানা থেকে আটক যোদ্ধাদের ৯৫ জন আছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে রাশিয়া জানিয়েছিল, তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
এমনকি রাশিয়ার আদালতে ওই যোদ্ধাদের বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিও করেছিল রাশিয়া। ফলে সেখান থেকে ৯৫ জনকে দেশে ফেরানো বড় জয় হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন। অন্যদিকে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং দোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিকের ১৪৪ জন বন্দি যোদ্ধা দেশে ফিরে গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের ইউক্রেনের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিতে পারাকে জয় হিসেবেই দেখছে রাশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।