বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বখাটে ছাত্রের বেধড়ক পিটুনিতে অবশেষে মারা গেছেন শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার। সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এরআগে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত উৎপল কুমার সরকার (৩৭) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুরে বসবাস করতেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় ‘হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ’র রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এক ছাত্র। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা গেছেন। নিহত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় নিয়ম-কানুন মানাতে শাসন করতে হয়েছে। হয়তো এমন কোনো ক্ষোভ থেকেই হামলা করেছে ওই ছাত্র।
হামলাকারী আশরাফুল ইসলাম জিতু চিত্রশালাই এলাকার উজ্জ্বল হাজীর ছেলে ও বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ঘটনার দিন আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে জিতু। স্ট্যাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
তিনি বলেন, উৎপল স্যার স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়ত কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ছাত্রটির ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বলেন, বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি ওই ছাত্র মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানা উচ্ছৃঙ্খলতা করতো। এ কারণে তাকে শাসন করায় আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এসআই এমদাদুল হক বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত জিতুতে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।