পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও সেই দুর্যোগকে বাড়িয়ে তোলে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা। সরকারের দেশ প্রেমের চেয়ে ভারতপ্রেম অনেক বেশি হওয়ায় সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আজকে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার জন্য ক্ষমতাসীন সরকার দায় এড়াতে পারে না।
গতকাল সোমবার বাদ যোহর ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহাসিক আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ বিভাগের উদ্যোগে ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও উম্মুল মুমিনীণ হযরত আয়েশা (রা.) এর শানে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদ, কথিত গণকমিশন কর্তৃক দেশের ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্কোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
দলের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন , অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাবেক মেয়রপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদসহ বিভাগের জেলা নেতৃবৃন্দ। প্রচন্ড বৈরী আবহাওয়ার মাঝে বিভাগের জেলা ও থানা শাখাগুলো মিছিলসহ সমাবেশে যোগদান করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, প্রাকৃতিক কারণেই ভারত ও বাংলাদেশের নদী, বাঁধসহ পানি ব্যবস্থাপনা বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ হওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের সরকারগুলো ভারতের সাথে এটা সেটা বহু সম্পর্ক উন্নয়ন করলেও ভারতের পানি নীতি বরাবরই বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে। সরকারগুলোও তার কোন প্রতিকার করতে পারেনি।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ। সেজন্যই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে নীতি প্রনয়ণ করা ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা উচিৎ ছিলো সরকারগুলোর। কিন্তু সিলেটের মানবিক বিপর্যয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের সরকার এই ক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের কাছে দেশ ও ইসলামের চেয়েও ভারতের প্রেমবেশি। এজন্য রাসূল (সা.) এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করার পরও বৃহত্তর ইসলামপ্রিয় জনতার পক্ষে অবস্থান নিতে পারেনি, কেবলমাত্র ভারতপ্রীতি কারণে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আপনার দুর্দিনে ভারত আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহর গজব থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই নবীপ্রেমের দৃষ্টান্ত সরকার দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু বন্যা পরিস্থিতি না বরং দেশের প্রতিটি খাতই এমন বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, বন্যায় দেশের মানুষ অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই। খোলা আকাশের নিচে, ঘরের চালে, টিলায় অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্যার্ত মানুষ। খাবার পাচ্ছে না, ঔষধ পাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় আসবাপত্রের অভাব, বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।