বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাহাড় থেকে নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। নগরীর আকবরশাহ ও ফয়েস লেক এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসে চারজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১টার দিকে আকবর শাহ থানাধীন বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- লিটন (২৪), ইমন (১৪), শাহীনুর (৩২) ও মাইনুর আখতার (২০)। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান শুক্রবার রাত তিনটার দিকে আকবরশাহ এলাকায় ফয়েসলেকের লেকসিটি বিজয় নগর এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। বাকিদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি পাত শুরু হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হয়। এর সন্ধ্যায় লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। চট্টগ্রামে প্রতিবছরই বর্ষা আসলে পাহাড় থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে তোড়জোড় শুরু হয়। তবে বর্ষার পর সবকিছু চলে আগের মতো। নগরী এবং আশপাশের এলাকায় সব পাহাড় বেদখল হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতির প্রতি বছর পাহাড় ধসে বেঘোরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় পাহাড় খেকো ভূমি দস্যুরা। এদিকে শনিবারও টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকায় আরো পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।