প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সিনেমার মতোই কোটি টাকা কাবিনে বড় ছেলে শাদমান মনোয়ার অমিকে বিয়ে করালেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। শোনা যাচ্ছে, সেই বিয়ের আয়োজনেও ঘটেছে এক সিনেমাটিক ঘটনা। মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। এরপর জায়েদ খান উত্তেজিত হয়ে পিস্তল বের করে ওমর সানীকে গুলি করার হুমকী দেন। ডিপজলের ছেলের ওই বিয়ের আয়োজনে হাজির ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা।
ওই রাতের ঘটনার বিবরণ রোজিনা গণমাধ্যমকে জানান, ‘সন্ধ্যার একটু পরপরই আমি সেখানে যাই। শোবিজের অনেকেই সেখানে ছিলেন। সবার সঙ্গে দেখা হয়, সেলফি তুলতে থাকি। রাত ৯টার দিকে ওমর সানী সেখানে আসে। বেশ কয়েকবার ওর (ওমর সানী) সঙ্গে দেখা হয়েছে। যে টেবিলে খাবার খেলাম, সেদিকেও একবার আসতে দেখলাম। তাকে বেশ স্বাভাবিকই মনে হলো। জায়েদ খানকেও দেখলাম সবার সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতে। যে বিষয়টি (চড়কাণ্ড ও পিস্তল দেখানো) রটেছে, তার কিছুই তো দেখলাম না। আমি ৩ ঘন্টার মতো সেখানে ছিলাম। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলো। শত শত মানুষ মোবাইলে ভিডিও করছিলো। এছাড়া ইভেন্টের লোকেরাও ভিডিও করছিলো। কই, কোনো ফুটেজে তো এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে না। ডিপজলের মতো বড় একজন মানুষের ছেলের বিয়ের আয়োজন, সেখানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার তো প্রশ্নই আসে না। ’
রোজিনা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধনে এসব ছড়ানো হচ্ছে। এভাবে সবার সামনে শোবিজের মানুষের ইমেজ নষ্ট করা মোটেই হচ্ছে না। ’
এদিকে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরো কয়েকজন প্রতক্ষদর্শী জানান, মৌসুমীর সঙ্গে জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছেন বলে তারা জেনেছেন। এটা নিয়ে জায়েদের ওপর ওমর সানী ভীষণ বিরক্ত ছিলেন। ডিপজলের কাছে এর বিচারও চান ওমর সানী। ডিপজল উভয়কে শান্ত থাকতে বলেন। উভয়কে উভয়ের কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।