প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা তার ক্যারিয়ারে কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের কথা স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, প্রথম সিনেমায় পারিশ্রমিক হিসেবে আমি ১০ টাকা পেয়েছিলাম। ছয়-সাতটি সিনেমা হিট হওয়ার পরও আমি গাড়ি কিনতে পারিনি। স্কুটারে করে এফডিসিতে যেতাম। টাকার প্রতি কখনোই আমার লোভ ছিলো না। বাইরের জগতের সঙ্গে মিশে অন্যায়ভাবে টাকা কামানোর চিন্তাও করিনি। অভিনয়কে ভালোবেসেই চলচ্চিত্রে এসেছি। অভিনয় করাকেই উপার্জনের পথ হিসেবে নিয়েছি। এটা আমার কাজ। যত সিনেমায় অভিনয় করব, ততো পয়সা পাব। কম হোক আর বেশি হোক। যদি কাজের পেছনে না ছুটি, দু-একটা সিনেমা করে বাইরের জগতে মিশে কালো টাকা ইনকাম করে ধনী হওয়া, বিলাসবহুল জীবন-যাপন করার চিন্তা করি, তাহলে সেটা তো একটা শিল্পকে ধ্বংস করা, শিল্পকে অপমান করা আমি মনে করি, এটা কোনো শিল্পীর কাজ নয়। তিনি বলেন, আমাকে সব সময় মনে রাখতে হবে, আমি মুসলমান, আমাকে আল্লাহকে ভয় করতে হবে, আমাকে জবাবদিহি করতে হবে, আমাকে নামাজ পড়তে হবে। আর অবশ্যই সেটা করেছি। অভিনয় করাটা আমাদের কাজ। যতটুকু সম্ভব শালীনতার মধ্যে থেকে কাজ করেছি। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনের কথা ভাবারই সুযোগ পাইনি। প্রতিদিন ৩-৪টা শুটিংয়ে কাজ করেছি। সকালে এফডিসিতে, বিকেলে ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে চলে যেতে হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনের আনন্দ নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। চিন্তায় শুধু ছিল কীভাবে ভালো অভিনয় করা যায়, কীভাবে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া যায়, কীভাবে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া যায়। পার্সোনাল লাইফ বলতে কিছু ছিল না আমাদের। উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে জানোয়ার সিনেমায় সহ-নায়িকা হিসেবে রোজিনার যাত্রা শুরু হয়। এরপর সে সময়ে সুপারস্টার ওয়াসিমের বিপরীতে রাজমহল সিনেমায় নায়িকা হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। সিনেমাটি সুপার-ডুপার হিট হয়। তারপর থেকে রোজিনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৪৩ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। চোখের মণি, সুখের সংসার, বিনিসূতার মালা, অবিচার, সাহেব, তাসের ঘর, হিসাব চাই, বন্ধু আমার, কসাই, জীবনধারা, মানসী, জনতা এক্সপ্রেস, রসের বাইদানী, জীবনধারা, রূপবানসহ অসংখ্য সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন। আমজাদ হোসেনের কসাই ও মতিন রহমানের জীবন ধারা সিনেমায় অভিনয় করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। পাকিস্তানে হাম তো হায় জামানা সিনেমায় অভিনয় করে ১৯৮৬ সালে সেখানের নিগার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি। সম্প্রতি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ফিরে দেখা সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।