প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনার উদ্যোগে নির্মিত হলো রাজকীয় নকশার এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তুরস্কের নকশায় মায়ের নামে এই মসজিদ নির্মাণ করেন এই নায়িকা। তার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নির্মিত এই স্থাপনার নাম রেখেছেন ‘দশ গম্বুজ খাদিজা জামে মসজিদ’। শুক্রবার (১ এপ্রিল) জুমার নামাজের মধ্যদিয়ে এই মসজিদের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন শেষে রোজিনা বলেন, ‘জন্মভূমির কথা আমার সবসময় মনে পড়ে। ব্যস্ততার কারণে গোয়ালন্দে তেমন আসা হয় না। এরপরও আমার সমস্ত অনুভূতি জুড়ে আমার এই জন্মভূমি। সেই অনুভূতি থেকেই বাড়ির সামনে মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করছি। এখানে একটি চক্ষু হাসপাতাল করার চিন্তা আছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোজিনা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুল হক খান মামুন, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
রোজিনা বিজ্ঞাপনের কাজ করার পর বড়পর্দায় ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান। ১৯৭৭ সালে ‘আয়না’ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে প্রথম দর্শকের সামনে আসেন রোজিনা। পরে ১৯৭৮ সালে তিনি এফ. কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমার মাধ্যমে একক নায়িকা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। ১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ সিনেমার জন্য এবং ১৯৮৮ সালে ‘জীবন ধারা’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি অভিনয় করেছেন দুই শতাধিক সিনেমাতে। গত বছর রোজিনা সরকারি অনুদান নিয়ে নির্মাণ করেন সিনেমা ‘ফিরে দেখা’। নিজের পরিচালনায় এটাই তার প্রথম সিনেমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।