পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, রাজপথে সেøাগান দিতাম...। তখন ১০ টাকা তেলের দাম বাড়লে বিরাট দাম বেড়ে যেত। তখন আমরা বলতাম ১০ টাকার তেল খেয়ে স্বর্গে যাবো। এখন বলতে চাই, পদ্মা ব্রীজের টোল ও পদ্মা ব্রীজ দিয়ে আমরা স্বর্গে যাবো। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ ভাল নেই। দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। পণ্যমূল্য মানুষকে কাহিল করে দিয়েছে। আয় নেই অথচ পণ্যমূল্য হুহু করে বাড়ছে। আমাদের জনগণকে বুঝাতে হবে, এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে চলছে। সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছে। বাকি সব টাকা চুরি করেছে। আমাদের রুমিন ফারহানা (বিএনপির সংসদ সদস্য) সংসদে খুব কথা ভালো বলেছে যে, পদ্মা ব্রীজ সোনা দিয়ে মোড়ানো....।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের সরকার অনির্বাচিত সরকার। সরকার গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণা দিয়েছে। এই বাজেট জনগণের জন্য নয়। এই বাজেট জনগণের গণশত্রু হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। শিল্প কারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার করা হয়, সেই গ্যাসের দামও বাড়বে। এভাবে প্রতিটা জিনিসের দাম রাতারাতি বাড়তে থাকবে। এই বাজেট পাস করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ পুলিশ বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য। জনপ্রশাসন কী? পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, ইউএনও। তাদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কেটে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বাজেট কাদের সাহায্য করেছে? যারা চুরি, ডাকাতি, লুণ্ঠন করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের জন্য। তারা এখন মাত্র ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে টাকা ফেরত আনতে পারবে। কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না। দুদক ধরবে না, হাইকোর্ট থেকেও তাদের কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। যারা এই বাজেট দিয়েছে, তারা কি এই সাধারণ মানুষের সরকার? চোর, ডাকাত, লুটেরাদের সরকার।
মানুষের প্রতি এই সরকারের কোনো ভালোবাসা নেই- দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংসদে কারা এই বাজেট দিয়েছে? আজকের এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। জনগণের বাজেট দেওয়ার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। গত ১৫ বছরের দুঃশাসনে তারা প্রমাণ করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রু। এরা এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো বাজেটের তেমন কিছুই বুঝি না। সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কোনটির কমল। গ্যাসের দাম বেড়েছে, সারের কারখানায় খবর বাড়বে। অর্থাৎ যারা কৃষিকাজ করেন, তাদের সারের দাম তিনগুণ বাড়বে। আবার বলেছে- শিল্প কারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার হয়, তার দামও বাড়বে। তাহলে প্রতিটি জিনিসের দামই বাড়বে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি হালকা করে দেখবেন না। এই দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এতোটুকুও বৃদ্ধি পায়নি। আওয়ামী লীগ এতো বড়-বড় কথা বলে, মানুষের আয় বাড়বে, জিডিপি বাড়ছে। কই, কারও উন্নতি হয়েছে?
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। সভা-সমাবেশে পুলিশকে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আশা করব, আপনাদের (পুলিশ) শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আওয়ামী লীগকে যেমন মিটিং-মিছিল করতে দেন, আমাদেরও দিতে হবে। সেখানে বাধা দিলে জনগণ তা মানবে না। বিনা কারণে মানুষকে তুলে নিয়ে অত্যাচার করবেন না। এজন্য একদিন না একদিন জবাবদিহি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই সরকারের কবল থেকে আমাদের অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে। আর এই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনো স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে পছন্দ করে নি। সরকারকে বলছি, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন।
সমাবেশে সভাপত্বি করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর-দক্ষিণ কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মঞ্জু ও আমিনুল হক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।