মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গাঁজা যেমন নেশার দ্রব্য, তেমনই তার রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল থাইল্যান্ড। শুধু চাষই নয়, উপকারী খাদ্য ও পানীয় হিসেবেও গাঁজাকে বৈধ বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। তবে জনসমক্ষে গঞ্জিকাসেবনে আগের মতোই থাকছে নিষেধাজ্ঞা।
ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কিছু দেশে গাঁজা চাষ বৈধ। তবে থাইল্যান্ডই এশিয়ার প্রথম দেশ যারা গাঁজা চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করল। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই গাঁজা মজুত রাখাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড সরকার। সূত্রের খবর, এরপরেও সে দেশে গাঁজার অবৈধ আমদানি বাড়ছিল। কারণ গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মনে করা হচ্ছে, নয়া সরকারি পদক্ষেপে অবৈধ আমদানি কমবে। গাঁজা চাষে উৎসাহ দিতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের ১০ লক্ষ গাঁজা চারা বিলি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে।
উল্লেখ্য, সরকারি ভাবে এতদিন গাঁজা নিয়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গঞ্জিকা বরাবর জনপ্রিয় থাইল্যান্ডে। তবে ঔষধি হিসেবেও গাঁজার বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে সে দেশে। নয়া সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য উপকারী খাদ্য ও পানীয় হিসেবেও গাঁজা গ্রহণ করা চলবে, তবে নেশার দ্রব্য হিসেবে গাঁজার ব্যবহার আগের মতোই অবৈধ। ফলে মাদক হিসেবে গঞ্জিকাসেবনে হতে পারে কড়া শাস্তি। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে গাঁজা খেলে তিন মাসের জেল ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কোভিডের পর গোটা পৃথিবীর মতোই দুর্বল হয়েছিল থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নেশার জন্য গাঁজা ব্যবহারের বিরুদ্ধে এখনও আইন রয়েছে। তেমন কাজ হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকরা ভাববেন না যে থাইল্যান্ডে এলে যথেচ্ছ গাঁজা খাওয়া যাবে।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।