মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট, গোটাবায়া রাজাপক্ষে আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গণ-বিক্ষোভের মধ্যে গত মাসে তার দ্বীপদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থাইল্যান্ড হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ যেখানে তিনি অস্থায়ী আশ্রয় চেয়েছেন বলে দুটি সূত্র জানিয়েছে।
স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা শ্রীলঙ্কানদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে তিনি গত গত ১৪ জুলাই দ্বীপদেশটি থেকে পালিয়ে যান। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তরে ঢুকে পড়ার কয়েকদিন পর গোটাবায়ার মালদ্বীপ হয়ে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর খবর আসে। অবসরপ্রাপ্ত এ সামরিক কর্মকর্তা পরে প্রেসিডেন্ট পদও ছেড়ে দেন; যা তাকে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে মেয়াদের মাঝপথে পদত্যাগ করা প্রথম প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দিয়েছে। সাবেক এই লঙ্কান প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুর ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক নামবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে, বলেছে সূত্রদুটি।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্স শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পায়নি। আর থাই সরকারের মুখপাত্র রাতচাদা থানাদিরেক বলেছেন, ‘কোনো মন্তব্য নেই।’ শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গোটাবায়াকে জনসমক্ষে আসতে বা কিছু বলতে শোনা যায়নি। চলতি মাসে সিঙ্গাপুরের সরকার বলেছে, নগররাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে সাবেক লঙ্কান প্রেসিডেন্টকে কোনো বিশেষ সুযোগ সুবিধা বা দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের ৭৩ বছর বয়সী এক সময় শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিকট ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কায় ফেরার চিন্তা সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার বাদ দেয়াই উচিত হবে বলে কিছুদিন আগেই দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল মন্তব্য করেছিলেন। ‘আমার মনে হয় না, এটা তার ফেরার উপযুক্ত সময়। তিনি শিগগিরই ফিরছেন এমন কোনো ইঙ্গিতও পাইনি,’ গত ৩১ জুলাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেন রনিল। রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কায় ফিরলে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হলে কোনো আইনই সম্ভবত তাকে রক্ষা করতে পারবে না, বলেছেন দ্বীপদেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।