Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একসঙ্গে ‘বিষ’ পানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, প্রেমিক গুরুতর অসুস্থ

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২২, ৬:০৩ পিএম | আপডেট : ৭:৫৫ পিএম, ১০ জুন, ২০২২

প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় একসঙ্গে বিষপানে (আগাছানাশক) আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় দুজন। তিনদিন পর জান্নাতুল ফেরদৌস মিম (১৪) নামের স্কুলছাত্রীর মৃত্য হয়েছে। আর তার প্রেমিক টগর (১৫) গুরুত¦ অসুস্থ। প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে আগাছানাশক (বিষ) খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার তিনদিনের মাথায় শুক্রবার মিম (১৪) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। আর মুমূর্ষ অবস্থায় একই হাসপতালে চিকিৎসা নিয়ে গুরুতর অবস্থায় বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রেমিক টগর (১৫)। তারা দুজনই উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জগদীশপুর-মির্জাপুর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মৃত জান্নাতুল ফেরসৌস মিম জগদীশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং টগর একই গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, উভয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় একসাথে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিক টগর (১৫) ও প্রেমিকা জন্নাতুল ফেরদৌস মিম (১৪)। জোগাড় করে আগাছানাশক। এরপর বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টায় স্কুল চলাকালীন পরীক্ষা না দিয়ে আগাছানাশক নিয়ে স্কুলের মূল ভবনের পিছনে যায় দুজন। সেখানে প্রেমিকার হাতে আগাছানাশক তুলে দেয় প্রেমিক টগর। প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মিম ঐ আগাছানাশক খেয়ে দেয় প্রেমিক টগরের হাতে। প্রেমিকও খায় আগাছানাশক। এরপর দুজনে যায় পরীক্ষার হলে। প্রায় আধাঘন্টা পরীক্ষার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রেমিকা মিম। শিক্ষকরা বিষয়টি জানতে চাইলে স্বীকার করে সে এবং টগর আগাছানাশক খেয়েছে। তবে টগর সে সময় অস্বীকার করে শিক্ষকদের বলে সে বিষ খায়নি, শুধুমাত্র মিম খেয়েছে। এরপর সম্পূর্ণ পরীক্ষা দেয় টগর। তখন সবাই ভেবেছিল টগর আগাছানাশক খায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মিমকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে মিমের মা সাংবাদিকদের জানান, ‘তার মেয়েকে বিষ খাইয়ে দিয়ে প্রেমিক টগর পালিয়ে যায়।’ তখন তিনি প্রেমিক টগরের আগাছানাশক খাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে, যশোরে মিমের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিমের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, পরীক্ষা শেষে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে টগরের পরিবার তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে টগরকেও বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর ছেলেটিকে শুক্রবার ছাড়পত্র দিয়ে দেয়া হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় সে জগদীশপুর গ্রামের বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ