পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আন্তর্জতিক বাজারে জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির জেরে ডিজেলে প্রতি লিটারে লোকসান হচ্ছে ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা। গত ৩ জুনের দর অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দৈনিক হিসেবে লোকসান গুণতে হচ্ছে ৮৯ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
বিপিসি সূত্র জানায়, ৩ জুন ব্যারেল প্রতি দর ছিল ১৬৭ দশমিক ১৭ ডলার। প্রিমিয়াম খরচ ২ দশমিক ৮১ ডলার দিয়ে দর দাঁড়াচ্ছে ১৬৯ দশমিক ৯৮ ডলারে। এতে করে লিটার প্রতি আমদানি খরচ পড়ছে ৯৭ দশমিক ৮২ টাকা। ডিজেলের লিটার প্রতি ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৭ টাকা, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে ৪ দশমিক ৬৬ টাকা।
আমদানি খরচ, ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্যসহ লিটার প্রতি খরচ দাঁড়াচ্ছে ১১৮ দশমিক ৫৬ টাকা। এর বাইরে রয়েছে বিক্রেতার ভ্যাট ১ দশমিক ৫৭ টাকা, বিক্রয় ও বিতরণ মার্জিন ১ দশমিক ৫০ টাকা, খুচরা বিক্রেতার কমিশন ২ দশমিক ৭৯ টাকা, বিপিসির মার্জিনসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ টাকা। সব মিলিয়ে লিটার প্রতি নীট মূল্য দাঁড়ায় ১৩০ দশমিক ৩৫ টাকা। আর এখন ডিজেল খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। বিপিসির মার্জিনসহ লোকসান দাঁড়াচ্ছে ৫০ দশমিক ৩৫ টাকা। বিপিসির মার্জিন বাদ দিলেও লিটারে লোকসান যাচ্ছে ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা।
দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ডিজেলের। গত ৩ জুন চাহিদা ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার লিটার। তবে এই হিসেবের বাইরে কিছু হিসেব রয়েছে। যেমন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় যেসব তেল আসছে সেগুলোর তুলনামুলক দর কম। আবার ক্রড অয়েল আমদানি করা হলে পরিশোধন করলে কয়েক টাকা সাশ্রয় হয়। ভ্যাট-ট্যাক্সকে বোঝা হিসেবে দেখছে খোদ জ্বালানি বিভাগ। তারা মনে করছে ডিউটি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা গেলে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসতো। না হলে বিপিসি কতদিন লোকসান দিয়ে চলবে!
আসছে দিনে চরম সংকট দেখছে বিপিসি। তারা মনে করছে এই অবস্থা থাকলে বেশিদিন বর্তমান দরে বিক্রি করা সম্ভব হবে না। এক সময় হয়তো দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
বিপিসির জেনারেল ম্যানেজার (অর্থ) এটিএম সেলিম বলেন, অকটেনে লিটার প্রতি ৩৪ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে, পেট্রোল ও জেট ফুয়েলও ব্রেক ইভেনে বিক্রি করা হচ্ছে। প্লেনের জ্বালানি জেট ফুয়েল অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের জন্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা দরে এবং আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ১ দশমিক শূন্য ৯ ডলার দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিপিসির এই জেনারেল ম্যানেজার বলেন, মন্ত্রণালয় নিয়মিত খবর নিচ্ছে। দাম পুর্ননির্ধারণের বিষয়ে এখন কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি একটি জটিল আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে জ্বালানির দামের অবস্থা খুবই অস্থিতিশীল। একদিকে যখন দাম ইস্যু একই সময়ে পণ্য পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। বিশ্বের অনেক দেশে জ্বালানির সংকট চলছে। ভবিষ্যতে টাকা হলেই যে বিদেশ থেকে নিশ্চিত তেল কেনা যাবে সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। আমাদের দেশে কোন সংকট নেই, সরকার চেষ্টা করছে জনগণের নাগালের মধ্যে রাখতে। তবে ভোক্তাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। আমাদের সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।