পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বেশ কয়েক বছর লাভের মুখ দেখার পর আবারও লোকসানে পড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সংস্থাটির দাবি, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই ডিজেল ও কেরোসিন এবং ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে ফার্নেস অয়েলে লোকসান দিতে হচ্ছে তাদের। এর ফলে জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্র্নিধারণের কথাও ভাবছে জ্বালানি বিভাগ। বিশেষ করে ফার্নেস অয়েলের দাম দ্রæত সমন্বয় করার কথা ভাবছে সরকার। তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ম. তামিম মনে করেন, গত পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকলেও বিপিসি যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম কমায়নি, তাই এখন দাম না বাড়িয়ে তাদের কিছুটা ভর্তুকি দেওয়া উচিত।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি যথাক্রমে নয় দশমিক ৮০ টাকা এবং পাঁচ দশমিক ২৪ টাকা করে লোকসান দিয়েছে বিপিসি। এ ধারা এখনও অব্যাহত আছে। অন্যদিকে, কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট থেকে সংগৃহীত কেরোসিনের ক্ষেত্রে ১১ দশমিক ৩৭ টাকা লোকসান হচ্ছে।
বিপিসি সূত্র আরও জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় জ্বালানি ও খনিজ সম্প্দ বিভাগ সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমায়। ওই সময় ডিজেল ও কেরোসিন লিটারপ্রতি ৬৮ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৫ টাকা, ফার্নেস অয়েল ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা, অকটেন ৯৯ টাকা থেকে ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল ৯৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৬ টাকা করা হয়।
কিন্তু একই বছরের এপ্রিল থেকে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে যেখানে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪৩ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার, সেখানে এ বছরের জানুয়ারি মাসে এ দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার। একইভাবে ডিজেলের দাম ৫০ দশমিক ৩১ থেকে বেড়ে ৮২ দশমিক ১০ ডলার, কেরোসিন ৫৩ দশমিক ২৯ থেকে বেড়ে ৮২ দশমিক ৯৯ ডলার এবং ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি টনে ২১৬ দশমিক ১৬ ডলার থেকে বেড়ে ৪১২ দশমিক ৪১ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বিপিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিসি ক্রমাগত লোকসান দিয়েছে। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। এই লাভের অর্থ থেকে বিপিসি সরকারি ব্যাংকগুলোর এবং পেট্রোবাংলার বকেয়া পাওনা এবং বকেয়া ভ্যাট বাবদ মোট পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এছাড়া লভ্যাংশ বাবদ ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সরকারি তহবিলে মোট দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা জমা দেয়।
তিনি জানান, পাশাপাশি সরকারি তহবিলে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত প্রকল্পগুলো বিপিসির সক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিপিসি নিজস্ব তহবিল গঠনের কাজ শুরু করে। এরইমধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, কাঞ্চন ব্রিজ থেকে কুর্মিটোলা পর্যন্ত জেট এ-১ পাইপলাইনসহ বিভিন্ন প্রকল্প এই তহবিলের টাকা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বলা হয়, বিপিসির লোকসান কমাতে তেলের পাচাররোধ করাসহ জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্র্নিধারণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ফার্নেস অয়েলের দাম দ্রæত সমন্বয় করার দরকার বলে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মত দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।