Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করছে

সেমিনারে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

উন্নয়নের জন্য শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন। এই অঞ্চলের (এশিয়া) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর উন্নয়ন নির্ভর করছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি খুবই প্রযোজ্য।
গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অবকাঠামো এখন প্রস্তুত। দেশটিতে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এখানে বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। পদ্মাসেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে। তিনি বলেন, আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি। চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও শেষ পর্যায়ে। সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পলে শিগগিরই এটি উদ্বোধন হবে।

তিনি আরও বলেন, চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাড়াতে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করতে হবে। চীনে এসব পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো নিয়ে দুই দেশকেই কাজ করতে হবে। এফটিএ নিয়ে চীন কাজ করছে বলে জানান চীনা রাষ্ট্রদূত। এছাড়া চীনে ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্ক সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি। দুই দেশের জন্যই একটি সুখবর শিগগিরিই আসতে পারে বলেও জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের রফতানি আয় বাড়ছে। আশা করছি এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ, তিনগুণ হয়ে যাবে। এ বছর রফতানি আয় ৫১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আশা করছি পরের বছরে তা ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি। এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) নিয়ে খুব শিগগিরই একটি সুখবর আসবে। দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যের জন্য এফটিএ দুই দেশের জন্যই সুবিধা বয়ে আনে। এর মাধ্যমে দুই দেশই উইন-উইন অবস্থায় থাকবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য বাড়াতে আমাদের আরও ব্র্যান্ডিং করতে হবে। পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে হবে। আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি ও গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন র‌্যাপিড এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মো. আবু ইউসুফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ