Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমগ্র ডনবাস জয়ের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

পালাচ্ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে চায় খেরসন অঞ্চল ইউক্রেনের ২৯০ সেনা নিহত ও এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

আমেরিকা ও পশ্চিমাদের দেয়া সর্বাধুনিক অস্ত্র দিয়েও রুশ সেনাদের ঠেকাতে পারছে না ইউক্রেনের যোদ্ধারা। রুশ সেনারা প্রায় অনায়াসেই একের পর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। তাদের অগ্রাভিযানের মুখে পালাতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। রাশিয়া ইউক্রেনের উপর তার ধ্বংসাত্মক ফায়ারপাওয়ার সুবিধা ব্যবহার করছে। এর মধ্যমে রুশ সেনারা নিজেদের এবং ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারছে ও ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিতভাবে রাশিয়ার সীমান্তের ওপারে তার পূর্ব শিল্প কেন্দ্রস্থলে আরও বেশি জায়গা দখল করছে।

পূর্ব ইউক্রেনে ফোকাস করার কৌশল পরিবর্তন করার পর রাশিয়া এই সপ্তাহে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তারা লুহানস্ক অঞ্চলের পুরোটাই দখল করার কাছাকাছি পৌঁছেছে। অগ্রগতিগুলি পূর্বে ইউক্রেনের দখলে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে একটি সেভেরোডনেৎস্ককে ঘিরে এবং দখলের দিকে মনোনিবেশ করেছে। সেখানে প্রায় বিনা বাধাতেই প্রবেশ করেছে রুশ সেনা এবং শহরের উপর ইউক্রেনের দখল ভঙ্গুর বলে মনে হচ্ছে। এই অঞ্চলে রাশিয়ার পুনর্নবীকরণ গতি পুরো পূর্ব ফ্রন্ট জুড়ে তার আক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে পূর্ব ইউক্রেনের মধ্যে একটি সংকীর্ণ অঞ্চলে ফোকাস করা থেকে লভ্যাংশ দেখায়। রাশিয়া সেভেরোডনেৎস্ক শহরটির দখল নিলে পুরো লুহানস্ক এলাকা তাদের দখলে চলে আসবে এবং এটা হবে রাশিয়ার জন্য একটা বড় কৌশলগত অর্জন।

ডনবাস অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ অবরুদ্ধ শহর সেভেরোডনেৎস্কের প্রশাসনিক প্রধানকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের একটি সংবাদ ওয়েবসাইট খবর দিচ্ছে রাশিয়ান সৈন্যরা নোভোয়াদার এবং স্টারোবিলস্ক নামে দুটি এলাকা দিয়ে শহরে ঢুকেছে। তারা প্রায় ১০০ মিটার এলাকার দখল নিয়েছে বলে তিনি জানাচ্ছেন। ইউক্রেনের স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান রোমান ভøাসেঙ্কো রুশ সৈন্যদের শহরে ঢুকে পড়ার কথা স্বীকার করলেও বলছেন, তাদের সৈন্যরা এখনও রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই পরিস্থিতিকে খুবই কঠিন বলে বর্ণনা করেছেন। ‘সেভেরোডনেৎস্কের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে এবং শহরের ৬০ শতাংশ আবাসিক ভবন এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেগুলো আর মেরামত করা সম্ভব নয়,’ তিনি বলছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘শহর থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেবার এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছনর মূল সড়কও এখন আর নিরাপদ নয়।’

এই শিল্প শহরটির ওপর এত তীব্র বোমাবর্ষণ হচ্ছে যে, হাইদাই বলছেন, তারা হতাহতের সংখ্যা গোনাও বন্ধ করে দিয়েছেন। রুশ সৈন্যরা সেভেরোডনেৎস্ক এবং প্রতিবেশি শহর লিসিচ্যানস্ক দখলের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে অবরোধ করে রেখেছে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক হামলা না চালিয়ে শুধুমাত্র নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে গোলবর্ষণ করে ও অবরোধের মাধ্যমে শহর দুইটি মুক্ত করার চেষ্টা করছে। পুরো লুহানস্ক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই দুটি শহরের দখল নেয়া।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বিবিসিকে বলেছেন যে রাশিয়া ‘ছোট ছোট পকেটে ইউক্রেন সৈন্যদের দলগুলোকে ঘিরে তাদের কোণঠাসা করে ফেলেছে। তাদের ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলছেন, ‘ইউক্রেন সশস্ত্র বাহিনী এলাকাগুলো ধরে রাখার জন্য লড়ছে। তবে রুশ সৈন্যদের গোলাগুলির শক্তি অনেক বেশি। প্রতিদিন চব্বিশ ঘণ্টা একনাগাড়ে তারা এসব এলাকায় কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে।’ ইউরি স্যাক বলছেন রুশ শক্তিমত্তার বিরুদ্ধে লড়তে যে ধরনের ভারি অস্ত্র প্রয়োজন যা পাঠাতে তারা পশ্চিমের দেশগুলোকে অনেক দিন আগেই অনুরোধ জানিয়েছিল, সেসব অস্ত্র এখনও এসে না পৌঁছনয় লড়াই তাদের জন্য কঠিন হচ্ছে।

ডনবাস কেন রুশদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : রাশিয়া সেভেরোডনেৎস্ক শহরটির দখল নিলে পুরো লুহানস্ক এলাকা তাদের দখলে চলে আসবে এবং এটা হবে রাশিয়ার জন্য একটা বড় কৌশলগত অর্জন। লুহানস্ক ডনবাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং ইউক্রেনের ভারি শিল্প এলাকা। ডনবাস দখল করাকে রাশিয়া এখন চূড়ান্ত অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং এখানে কোনরকম শর্ত রাশিয়া আমলে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

ডনবাসের মানুষ মূলত রুশ ভাষাভাষী। দোনেৎস্ক আর লুহানস্ক বিস্তৃত খনিসমৃদ্ধ এলাকা এবং এই এলাকার সাথে রাশিয়ার একটা ঐতিহাসিক সম্পৃক্ততা আছে। ফলে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া যে কোন মূল্যে নিতে চায়- তাদের ভাষায় এই এলাকা তারা ‘স্বাধীন’ করতে চায়। অর্থাৎ ক্রাইমিয়ার পর এই এলাকা রাশিয়া তার দেশের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। লাভরভ বলেছেন, ‘রুশ ফেডারেশন দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকাকে স্বাধীন রাজ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দুই এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ রাশিয়ার জন্য শর্তহীন অগ্রাধিকার।’ ইউক্রেনও চাইছে না এই এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাক। কিন্তু এই এলাকার পতন তারা ঠেকাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে চায় খেরসন অঞ্চল : ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক সত্তা হওয়ার জন্য অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলটি রাশিয়ান ফেডারেশনে প্রবেশের বিষয়টি উত্থাপন করতে চায়। খেরসন অঞ্চলের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের উপ-প্রধান কিরিল স্ট্রেমাসভ এ কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন গতকাল স্ট্রেমাসভ বলেন, ‘খেরসন অঞ্চলটি অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দিতে চায়, এটির পূর্ণাঙ্গ উপাদান হয়ে উঠবে।’

ইউক্রেনের ২৯০ সেনা নিহত ও এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস : রাশিয়ার মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর-জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ২৯০ জন ইউক্রেনীয় জঙ্গিকে নির্মূল করেছে এবং নিকোলায়েভ অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি এসইউ-২৫ আক্রমণকারী যুদ্ধবিমান বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। মুখপাত্র জানান, রাশিয়ার অপারেশনাল-কৌশলগত এবং সেনা বিমান চলাচলের বিমান এবং মানবহীন বিমান যান তিনটি ইউক্রেনীয় কমান্ড পোস্ট, ৬৯টি জনবল এবং সামরিক সরঞ্জামের এলাকা, একটি রাডার স্টেশন এবং ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের রাইগোরোডক এবং নিকোলায়েভকার বসতিগুলির কাছে দুটি গোলাবারুদ ডিপোতে আঘাত করেছিল।

রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র : ইউক্রেনে দূরপাল্লার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম- (এমএলআরএস) পাঠানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট সিস্টেম ইউক্রেনে পাঠাবে না তারা।’ ঊর্ধ্বতন এক আমেরিকান কর্মকর্তার বরাতে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে এমএলআরএস দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে হোয়াইট হাউস। তবে সিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দূর পাল্লার অস্ত্র দেয়া হবে না।

ইউক্রেন সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এম৭৭৭ হাউইৎজার ব্যবহার করছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। এটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। তবে তার চেয়ে অনেক দূরে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এমএলআরএস। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০-৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাকে এমএলআরএস ব্যবহার করেছিল। যুক্তরাজ্যের কাছেও আছে এমএলআরএস। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন ‘নৃশংস রুশ আর্টিলারির’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের রকেট পাওয়া উচিত। তবে তিনি এসব অস্ত্র সরবরাহ করার কথা বলেননি।

শরতের মধ্যেই জয় লাভ করতে পারে রাশিয়া : ন্যাটো এবং অন্যান্য বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে এসব অস্ত্র রুশ সেনাকে ঠেকাতে পারছে না এবং ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, তারা আগামী শরতের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধে জয়লাভ করবে। ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র স্বাধীন রাশিয়ান নিউজ আউটলেট মেডুজাকে বলেছে, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত তাদের পিষে ফেলব। পুরো বিষয়টি সম্ভবত শরতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ একটি দ্বিতীয় সূত্র বলেছে, ‘শীঘ্রই বা পরে, ইউরোপ সাহায্য করতে করতে ক্লান্ত হবে। তারা যে পরিমাণ অর্থ এবং অস্ত্র দিচ্ছে তা তাদের নিজেদের জন্যই প্রয়োজন।’ উৎসটি আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার সাথে ‘আলোচনা করতে হবে’ শীতকাল আসার সাথে সাথে কারণ তারা মানুষকে উষ্ণ রাখতে এর জ্বালানি রপ্তানির উপর নির্ভরশীল।

মেডুজা রিপোর্ট করেছেন যে, রাশিয়ান কর্মকর্তারা এখনও ঠিক কী বিজয় গঠন করবে সে সম্পর্কে অস্পষ্ট। একটি সূত্র জানিয়েছে, একেবারে ন্যূনতম পূর্ব ডনবাস অঞ্চল দখল করা হবে যেখানে ইউক্রেন ২০১৪ সাল থেকে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেন বর্তমানে এই অঞ্চলে পিছনের দিকে রয়েছে কারণ রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামূলক লাইনের বিরুদ্ধে সৈন্য, কামান এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্র সংগ্রহ করছে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।

যদি রাশিয়া ডনবাস দখল করতে সফল হয়, ‘এটি সম্ভবত ক্রেমলিনের দ্বারা একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অর্জন হিসাবে দেখা হবে এবং রাশিয়ার জনগণের কাছে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে চিত্রিত হবে,’ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে। যাইহোক, কিছু ইউরোপীয় কিছু দেশের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে দোদুল্যমান লক্ষণ দেখা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হাঙ্গেরি, রাশিয়ান তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ইইউ প্রস্তাবকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সূত্র : ১৯ফোর্টিফাইভ, নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি নিউজ, এপি, তাস।



 

Show all comments
  • আহমদ ১ জুন, ২০২২, ১:১৮ এএম says : 0
    রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমেই বুঝা যাচ্ছে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে নিয়ে খেলছে
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ ১ জুন, ২০২২, ১:১৫ এএম says : 0
    এ যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ ১ জুন, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
    পম্চিমারা ইউক্রেনকে নিয়ে খেলছে। কাজেই ইউক্রেনের উচিত হবে এখনই যুদ্ধ বন্ধ করা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া-ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ