Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার লুটপাটের অর্থ ফেরত এনে জায়েজ করবে

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, পাঁচার করা অর্থ তারা নাকী ফিরিয়ে আনবে। আরেক শয়তানি শুরু করবে আবার। অর্থ্যাৎ নিজেরা এই টাকা পাঁচার করেছে এটাকে ফিরিয়ে এনে জায়েজ করবে। তারা দেশের সম্পদ লুট করা সম্পদ ফিরিয়ে নিয়ে এসে আবারোও লুটপাটের সুযোগ করে দেবে। গতকাল রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনো মতেই বিশ্বাস করা যায় না। ওরা বরাবরই প্রতারক। এমন একটা সময় ছিলো না-আওয়ামী লীগকে আপনারা দেখেননি আমরা দেখেছি। বরাবরই প্রতারণা করেছে। সেই আওয়ামী লীগকে কোনো মতেই আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না। একদিন থাকলেও আমাদের ক্ষতি।
ক্ষমতাসীরা যত সমালোচনাই করুক জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে কখনো মুছে ফেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যেখানেই যাচ্ছি দেখছি মানুষের কী আকুতি, কী আবেগ। জিয়াউর রহমান সাহেবকে নিয়ে যে যত ইচ্ছা বলুক, তাকে খলনায়ক বলুক, পাকিস্তানি চর বলুক আর তাকে সামরিক জান্তা থেকে উঠে আসার কথা বলুক তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ এই দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে তিনি প্রতিথ হয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে, তাকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হচ্ছেন আমাদের সেই আলোকবর্তিকা। যার দিতে তাঁকিয়ে আমরা কথা বলব। তার তো ব্যর্থতা নেই। তিনি শহীদ হয়ে গেছেন। কিন্তু তার আদর্শ তো ফুরিয়ে যায়নি। তিনি যে দর্শন দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, তিনি যে দর্শন দিয়েছিলেন আমাদের উন্নয়নের রাজনীতি, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনোদিন আমরা আপোষ করব না সেই রাজনীতি তো টিকে আছে। সেখানে আবার আমাদের আরেকজন নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই পতাকাটা হাতে তুলে নিয়েছিলেন যেই পতাকা শহীদ জিয়ার পতাকা ছিলো-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র আর উন্নয়নের পতাকা ছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আবার যখন আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধবংস হয়ে গেছে, সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে গেছে, সব কিছু উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে, ম্লান হয়ে যাচ্ছে তখন আবার আমাদের সামনে এসে আবির্ভুত হয়েছেন তারই যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমান যিনি আমাদেরকে সুদূর থেকে পথে দিশা আমরা পাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশকে ধবংসের মুখে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সময় এসেছে, এই সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। তারা অত্যন্ত দূর্বল। এখন দরকার একটা ধাক্কা দেয়া। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, রাজপথে ফয়সালা হবে। আজকে এই দিনে আমাদেরকে একটাই শপথ নিতে হবে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ধাক্কা দিয়ে এই সরকারকে হটিয়ে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যুব দলের সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ