মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৬ সেকেন্ডের নোটিশে পোল্যান্ডে হামলার হুঁশিয়ারি কাদিরভের ০ বেসামরিকদের বাঁচাতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে রাশিয়া ০ রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করতে সক্ষম : ক্রেমলিন ০ কিসিঞ্জারের ভুখন্ড ছাড়ার প্রস্তাবে জেলেনস্কির ক্ষোভ প্রকাশ
ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা প্রচন্ড চাপের মুখে আছে বলে স্বীকার করেছে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনের পূর্বদিকের ডনবাস অঞ্চলের সেভারোডোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক - এই দুটি শহরকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় এগুলোর ওপর রুশ বাহিনী প্রচন্ড বোমাবর্ষণ করছে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বুধবার মস্কোর মান্দ্রিক সেন্ট্রাল মিলিটারি ক্লিনিকাল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন, যেখানে তিনি ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযানে আহত রাশিয়ান সেনাদের সাথে দেখা করেছেন।
লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকাই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। যে এলাকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই সেগুলোই দখলে নেবার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। ডনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রথান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, রাশিয়া যদি ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে তাহলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। কিয়েভ থেকে বিবিসির জো ইনউড জানাচ্ছেন, পূর্ব ডনবাসে রাশিয়া ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। তারা এটা করতে পারছে কারণ সৈন্য, কামান, সাঁজোয়া যান, এবং বিমানবাহিনীর শক্তি - সব ক্ষেত্রেই সংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনকে পেছনে ফেলেছে রুশরা, বলেন জো ইনউড। ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী সাফল্য পাচ্ছে’ - বলেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবিসি নিউজকে বলেছেন, ডনবাস অঞ্চলে একেকজন ইউক্রেনীয় সেনার বিপরীতে সাতজন করে রুশ সেনা আছে। কিয়েভে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ওলেক্সান্দর মোতুজিয়ানিক বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো ওই দুটো শহরে যাবার প্রধান রাস্তাটি নিয়ন্ত্রণ করছে - তবে যুদ্ধ এখনো চলছে। লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, ওই রাস্তাটি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ চলছে কিন্তু এটি এখনো সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, দিনরাত গোলাবর্ষণ, মিসাইল নিক্ষেপ ও বিমান থেকে বোমা ফেলে সেভারোডোনেৎস্ক শহরটিকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। হাইদাই আরো জানান, রুশ বাহিনী এখন এতটাই কাছে চলে এসেছে যে তারা রকেটের পাশাপাশি মর্টারও ব্যবহার করছে।
এছাড়া এখান থেকে অনেকটা দূরে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া এবং ক্রিভি রিহ শহর দুটির ওপরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে এতে লোক হতাহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। ইউক্রেনে রাশিয়া হেরে যাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এতদিন দাবি করে এসেছে। এসব তথ্য প্রমাণ করে যে, সেগুলো ছিল ভিত্তিহীন।
এদিকে, পুতিন বুধবার মস্কোর মান্দ্রিক সেন্ট্রাল মিলিটারি ক্লিনিকাল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন, যেখানে তিনি ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযানে আহত রাশিয়ান সেনাদের সাথে দেখা করেছেন। পুতিনের সঙ্গে ছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এই সফরের ফুটেজ ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী মেডিকেল গাউন পরে একটি ওয়ার্ডে প্রবেশ করছেন। তারা চিকিৎসাধীন সেবাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পুতিনের এ সফর তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ পশ্চিমা মিডিয়াগুলো অনেকদিন ধরেই প্রচার করে আসছে যে, পুতিন খুবই অসুস্থ ও তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করেছেন। পুতিনের এ সফর সেই দাবিগুলোকে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছে।
এর আগে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের সময় আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি নিজেই তদারকি করছেন এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।’ পেসকভ আরও উল্লেখ করেছেন যে, এখন প্রেসিডেন্টের সময়সূচী ‘তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে যেতে এবং চিকিৎসার তদারকি করা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, (রাশিয়ান) সৈনিকদের সাথে কথা বলা সম্ভব করে তোলে।’
৬ সেকেন্ডের নোটিশে পোল্যান্ডে হামলার হুঁশিয়ারি কদিরভের : চেচেন নেতা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র রমজান কাদিরভ বলেছেন যে, তিনি পোল্যান্ড আক্রমণ করতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় এ দেশটিকে তিনি ‘সময় থাকতে আপনার অস্ত্র ফিরিয়ে নেয়া ভাল’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বুধবার বিবিসি সাংবাদিক ফ্রান্সিস স্কারের টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে, কাদিরভ বলেছেন যে, ইউক্রেন ইস্যু শেষ, এখন তিনি ‘পোল্যান্ডের বিষয়ে আগ্রহী’। ‘ইউক্রেনের পরে, যদি আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়, ছয় সেকেন্ডের মধ্যে আমরা আপনাকে দেখাব আমরা কী করতে সক্ষম,’ কাদিরভ বলেছিলেন।
কাদিরভের এ কথায় পরিস্কার যে, ইউক্রেনে অভিযানে রাশিয়া তাদের লক্ষ্য প্রায় অর্জন করে ফেলেছে। ফলে এখন তাদের নতুন লক্ষ্যে আক্রমণ করার সেনা ও অস্ত্র সক্ষমতা রয়েছে। পোল্যান্ড সেই দেশগুলির মধ্যে একটি যারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে যা ফেব্রæয়ারির শেষ থেকে চলছে। কাদিরভের বিবৃতি পোল্যান্ডের কিছু নেতার উদ্বেগকে তুলে ধরে যে, রাশিয়া সম্ভাব্যভাবে পোল্যান্ডে ভবিষ্যতে আক্রমণ চালাতে পারে। যদিও পুতিন পোল্যান্ডের পাশে দেখতে পারেন কিনা সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত দেননি, পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওয়েল জাবলনস্কি মার্চের শেষের দিকে প্রকাশিত আল জাজিরার সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময় বলেছিলেন যে, এটি একটি ‘পরম নিশ্চিত’ যে পুতিন পোল্যান্ড আক্রমণ করতে চান। ‘একই সাথে, আমরা এটাও নিশ্চিত যে (পুতিন) এখন এটি করবেন না কারণ তিনি ইউক্রেনে যা ঘটছে তাতে খুব বেশি ব্যস্ত,’ জাবলনস্কি যোগ করেছেন।
চেচেন নেতার ভিডিও, যা বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ভিউ পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে কাদিরভ পোল্যান্ডকে নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘আপনি আমাদের রাষ্ট্রদূতের সাথে যা করেছেন তার জন্য সরকারী ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ কাদিরভ আপাতদৃষ্টিতে এই মাসের শুরুতে সংঘটিত একটি ঘটনার উল্লেখ করছিলেন যখন পোল্যান্ডে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, সের্গেই আন্দ্রেভ, পোল্যান্ডে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে লাল রঙে আঘাত পেয়েছিলেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ। ঘটনার পর আন্দ্রেভ ও তার প্রতিনিধিদল এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। ‘আমরা এটিকে উপেক্ষা করব না,’ কাদিরভ ভিডিওতে বলেছেন, ‘মনে রেখো।’
ভিডিওটি কখন বা কোথায় তোলা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। কাদিরভই একমাত্র পুতিন মিত্র নন যিনি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাশিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ওলেগ মোরোজভ এবং পুতিনের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়ার একজন শীর্ষ সদস্য, এই মাসের শুরুতে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, পোল্যান্ডকে ‘ইউক্রেনের পরে ডিনাজিফিকেশনের কাতারে প্রথম স্থানে রাখা উচিত’, একটি টেলিগ্রামের ইংরেজি অনুবাদ অনুসারে।
বেসামরিকদের বাঁচাতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে রাশিয়া : রাশিয়া ইউক্রেনে তার বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করার সময় সময়সীমা অনুসরণ করছে না, কারণ তারা বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চায় না। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলে পাত্রæশেভ সাপ্তাহিক আর্গুমেন্টি আই ফ্যাক্টিকে বলেছেন।
পাত্রæশেভ বলেন, নাৎসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করতে হবে, অন্যথায় এটি আবার তার কুৎসিত মাথা উত্থাপন করবে। ‘আমরা কোন সময়সীমা অনুসরণ করছি না,’ তিনি সাক্ষাৎকারে অপারেশনের দীর্ঘায়িত প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের উদ্বেগের বিষয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে বলেছিলেন, ‘নাৎসিবাদকে হয় ১০০ শতাংশ নির্মূল করতে হবে, অথবা এটি কয়েক বছরের মধ্যে আবার মাথা উঁচু করবে এবং আরও কুৎসিত রূপ নেবে।’
রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করতে সক্ষম : ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। ‘অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার জন্য এবং সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং সিস্টেমের বাধাহীন অপারেশন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে,’ তিনি উল্লেখ করেছেন। পেসকভ জোর দিয়েছিলেন যে, রাশিয়ার ‘এটি করার সমস্ত সম্ভাবনা এবং সক্ষমতা রয়েছে।’ ক্রেমলিনের মুখপাত্র যোগ করেছেন, ‘এটি এমন পরিস্থিতির জন্য আগেই তৈরি করা হয়েছিল।’ ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপগুলি নির্ধারণ করার জন্য বিশ্লেষণের প্রয়োজন হবে যা আমাদের স্বার্থকে সর্বোত্তম পরিবেশন করবে,’ তিনি বলেছিলেন।
কিসিঞ্জারের ভুখন্ড ছাড়ার প্রস্তাবে জেলেনস্কির ক্ষোভ প্রকাশ : সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এই সপ্তাহে ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনের উচিত রাশিয়াকে ক্রাইমিয়া রাখতে দেয়া, যা তারা ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল। তবে এ প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিসিঞ্জার বলেছিলেন যে, ইউক্রেনকে ভুখন্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়া উচিত এবং রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ করার জন্য ছাড় দেয়া উচিত। ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানিকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টার সাথে ধারণাটিকে তুলনা করে, জেলেনস্কি প্রস্তাবগুলোর নিন্দা করেন। রাশিয়ান বাহিনীর দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি আসে যখন ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ২০১৪ সালে রাশিয়ান-ভাষী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দুটি পূর্বাঞ্চলে একটি নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল।
যদিও নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড ১৯ মে বলেছিল যে, আলোচনায় শান্তি স্থাপনের জন্য, কিয়েভকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে, এই কারণে যে একটি নিষ্পত্তিমূলক সামরিক বিজয় বাস্তবসম্মত ছিল না। ‘মনে হচ্ছে কিসিঞ্জারের ক্যালেন্ডারটি ২০২২ নয়, ১৯৩৮ সালের, এবং তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি দাভোসে নয়, সেই সময়ের মিউনিখে দর্শকদের সাথে কথা বলছেন,’ জেলেনস্কি বুধবার তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছিলেন। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ, নিউজউইক, বিবিসি নিউজ, তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।