Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেনের আরেকটি শহর প্রায় অবরুদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১০:৪৮ এএম

ইউক্রেনের সেভেরোদোনেৎস্ক দখলে নিতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। শহরটি চারপাশ থেকে রুশ সেনারা ঘিরে ফেলার দাবি করেছে। তবে পূর্ব ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি এলাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোগ সড়ক এখনো দখলে নিতে পারেনি রুশ সেনারা।
ওই সড়কটি দখল নিতে পারলেই সেভেরোদোনেৎস্কের সঙ্গে ইউক্রেনের অন্য শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। খবর বিবিসির।
সেভেরোদোনেৎস্ক অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান শেরহি হাইদি বলেন, ‘লুহানস্কের সঙ্গ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি।’
রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য হল সেভেরোদোনেৎস্ক দখলে নেওয়া। দেশটির অন্যতম বড় এই শহরটির উপকণ্ঠে তীব্র লড়াই চলছে। বিবিসি বলছে, রুশ সেনারা যদি সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে বাখমুটের রাস্তাটি দখল করতে পারে তবে পুরো শহরটিকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হবে তারা।
শেরহি হাইদি বলেন, শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাস্তায় লড়াই চলছে। তবে এখনো শহরে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো যাচ্ছে।
শেরহি বিবিসিকে বলেছে, সেভেরোদোনেৎস্কের পরিস্থিতি খুব খারাপ। ২৪ ঘণ্টা সেখানে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রুশ সেনারা মর্টারের গোলাসহ নানা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হামলার পাশাপাশি বিমান হামলা করছে। গত মঙ্গলবার রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর তিন মাস পার হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাস পুরোপুরি দখলের দিকে মনোনিবেশ করছে রুশ সেনারা।
রুশ সেনারা যদি এখন পাশের লিসিচানস্ক শহরটিরও দখল নিয়ে নেয় তবে পুরো লুহানস্ক অঞ্চল তাদের হাতে চলে যাবে। লুহানস্ক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর বোমা হামলার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কে ১৫ হাজার বেসামরিক লোকজন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে তা স্বীকার কার হয়নি। তবে গতকাল রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মস্কোর একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করার বিষয়টি দেখানো হয়। সেখানে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে আহত সেনাদের দেখতে যান।
বিবিসি জানায়, হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে পুতিনকে বলতে শোনা গেছে, এক সেনাকে তিনি বলেছেন, তোমার বাবা তোমাকে নিয়ে গর্ব করবেন।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেন, রাশিয়া কোনো সময়সীমা তাড়া করছে না। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু বলেছেন, ইউক্রেনে হামলার গতি কিছুটা কমেছে।
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক ও বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করলেও তাতে কার্যত কোনো ফল আসেনি। আলোচনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ