Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাটের আঘাতে কিশোরের মৃত্যু

চুরি নিয়ে ঝগড়া, দাদা গ্রেফতার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাগানের নারিকেল ও লেবু চুরি সন্দেহে ঝগড়ার জেরে নাতি জিসানকে (১৭) ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন দাদা আবুল কাশেম হাওলাদার (৬৬)। এতে গুরুতর আহত হয় জিসান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় জিসান। গত ২৮ এপ্রিল বরিশালের মুলাদী থানাধীন জালালাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত আবুল কাশেম হাওলাদারকে গত সোমবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গতকাল মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আবুল কাশেম জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানান, দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে নজরুল ইসলাম হাওলাদার প্রায় ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। ছোট ছেলে আজিজুল কৃষি কাজ করেন। তিনি ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন। বড় ছেলে তার খরচের জন্য মাঝেমধ্যে ছোট ছেলের কাছে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতেন। তাদের বাড়ির পেছনে নারিকেল ও লেবু বাগান রয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল রাতে কে বা কারা গাছ থেকে নারিকেল ও লেবু চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে ছোট ছেলে আজিজুলের স্ত্রী আঁখিনুর বেগম গাছে ফল না দেখে প্রবাসী বড় ছেলের স্ত্রী ও তার ছেলে-মেয়েকে সন্দেহ করে গালিগালাজ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ চুরিকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। ছোট ছেলে আজিজুল ও তার স্ত্রী আঁখিনুর মারধর করে বড় ছেলের স্ত্রী জেসমিন ও তার মেয়ে নাজমুন নাহার শিখাকে। তাদের চিৎকারে তার নাতি জিসান ঘর থেকে বের হয়ে তার মা ও বোনকে ছাড়িয়ে নেয়। এ সময় আজিজুলের সঙ্গে জিসানের তর্কাতর্কি শুরু হয়। আবুল কাশেম হাওলাদার আজিজুলের পক্ষ নিয়ে উঠানে থাকা ক্রিকেট খেলার কাঠের ব্যাট দিয়ে জিসানের মাথায় আঘাত করেন। এতে জিসান তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জিসানকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর শের-ই-বাংলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢামেকে ২৮ এপ্রিল জিসান মারা যায়। জিসান মালয়েশিয়া প্রবাসী নজরুল ইসলাম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে এবং লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। হত্যাকাণ্ডের পর জিসানের মা মোসা. জেসমিন বেগম একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে সিআইডি প্রয়োজনীয় তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল কাশেম হাওলাদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ