মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষণা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।
আগামী ৯ মে 'বিজয় দিবস' পালন করতে চলেছে রাশিয়া। উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকলীন এই দিনেই নাৎসি জার্মানি মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। সেই উপলক্ষেই এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাশিয়া। তার ঠিক আগেই ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিবের এই ভবিষ্যৎবাণী নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে বেন ওয়ালেসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি মোটেও খুব একটা অবাক হব না, যদি তিনি (ভ্লাদিমির পুতিন) আগামী মে দিবসে ঘোষণা করেন, 'আমরা এখন নাৎসিদের পৃথিবীর সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এবং তাই আমাদের এখন রুশ নাগরিকদের একজোট করতে হবে'।"
এরপরই পুতিন সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব। তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই পুতিন এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট আসলে কী ভাবছেন। পুতিন বলেছেন 'এটা আসলে ছায়াযুদ্ধ'। কিন্তু, এই দাবি মোটেও সত্যি নয়। তিনি বলেছেন, 'নাৎসিরা সর্বত্রই রয়েছে। আসলে তারা শুধুমাত্র ইউক্রেনে নেই। ন্যাটোবাহিনীজুড়েও নাৎসিরাই রয়েছে!' এমন অসংখ্য মন্তব্য করেছেন পুতিন।"
বস্তুত, বেন ওয়ালেসের দাবি ভিত্তিহীন নয়। কারণ, পুতিন বহুবার বলেছেন, ইউক্রেন থেকে নাৎসিদের হঠাতেই সামরিক অভিযান শুরু করেছে তাঁর সরকার। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বহুবার মার্কিন প্রশাসন বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছিল। তাদের দাবি ছিল, কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। কিন্তু, সেই সময় বহু বিশেষজ্ঞেরই আমেরিকার এই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।
কিন্তু, এবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি আর কেউই হালকাভাবে নিতে চাইছেন না। বিশেষ করে রুশ রণতরী ধ্বংস হওয়ার পর সেদেশের সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছিল, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে! যদিও মস্কোর তরফ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও কিছু বলা হয়নি। কিন্তু, ইতিমধ্যেই একাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এত সহজে এই যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
উপরন্তু, যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটা আড়াআড়ি বিভাজনও চোখে পড়ছে। এর একদিকে রয়েছে আমেরিকা আর অন্যদিকে চীন। ফলে আগামী দিনে ইউক্রেনের বাইরেও যুদ্ধ শুরু হলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমনকী, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।