পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিশ্বের শতকোটি মানুষের ধর্ম ইসলামের সম্মানজনক প্রতীকসমূহের ওপরে আঘাত করা ও অবমাননাকরা পশ্চিমাদের মানসিক রোগে পরিণত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষি এক শ্রেণির লেখক, রাজনীতিবিদদের অব্যাহত মিথ্যা প্রচারণার ফলে পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলাম ফোবিয়ার মহামারি তৈরি হয়েছে ও কোটি মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যা বিশ্বব্যাপী অশান্তি বাড়াচ্ছে ও ধর্মীয় স¤প্রীতি নষ্ট করছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, তারই ধারবাহিকতায় সুইডেনে এক রাজনৈতিক নেতা সরকারি অনুমতি নিয়ে প্রকাশ্য পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমা এই ধর্মীয় উষ্কানির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বাংলার মানুষ। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসরাইলের জন্মই যে একটি আজন্ম পাপ তা আবারো প্রমাণ হলো। প্রতিবছর দফায় দফায় নিরিহ ফিলিস্তিনিদের ওপরে হামলা করা হয়। রমজান আসলেই ইহুদি দানব হিং¯্র হয়ে ওঠে। বছরের পর বছরএসব দেখে উম্মাহ বিরক্ত ও বিক্ষুব্ধ ।
গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সুইডেনে কোরআন অবমাননা এবং মসজিদে আল-আকসায় নিরীহ নিরাপরাধ মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষাভ পূর্ব সমাবেমে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
পীর সাহেব চরমোনাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ও ইসলাম ফোবিয়ার বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান নিন। তিনি বলেন, বর্তমান জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য মুসলমানদের পৃথক মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনইবলেন, বিশ্বব্যাপী কোরআনী শাসন প্রতিষ্ঠাও বাইতুল আকসা থেকে ইসরাইলিদের উচ্ছেদ করেই এর বদলা নেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমসাদ বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো বার বার ইসলাম, কোরআন ও মুসলমানদের টার্গেটে পরিণত করে কাজ করছে। এজন্য মুসলিমবিশ্বকে ইসলাইল ও সুইডেনের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে। পরে একটি বিশাল মিছিল পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ইসরাইল, সুইডেন বিরোধী বিভিন্ন প্লে-কার্ড শোভা পায়। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিলে অংশ নেয়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।