পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, টিএসসিতে নামাজের জায়গা একবিন্দু রক্ত থাকতে ছাড় দেয়া হবে না। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সুইডেনে কোরআন অবমাননা ও ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ইমান ও চরিত্র বিধ্বংসী কার্যক্রম সুন্দরভাবে চলবে, কিন্তু ছেলেমেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গা বন্ধ করার চেষ্টা করছে, আর সরকার বসে বসে চুপ করে দেখছে। এতে আমরা বলব, আপনারা নামাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এত মুসলমান থাকার পরেও গোটা কয়েক নাস্তিক নামাজের জায়গা বন্ধ করবে আর আমরা তা দেখব, তা হবে না। এক বিন্দু রক্ত থাকতে টিএসসিতে নামাজের জায়গা ছাড় দেয়া হবে না।
সুইডেনে কোরআন অবমাননা এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের আহŸান জানিয়ে চরমোনাইর পির বলেন, ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যাবে মুসলমানরা কোনো ধর্ম, জাতির প্রতি আক্রমণ করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এমন নজির পাওয়া যাবে না। কিন্তু সুইডেনের মতো একটা সভ্য রাষ্ট্রে আজ কোরআন অবমাননা হচ্ছে। জাতিসংঘের এখন কোনো কার্যকারিতা নেই। ঐটা জাতিসংঘ না, মুসলমান নিধনকারী সংঘ। ইসরায়েলের দখলদাররা এখন ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন শুরু করেছে, তা তামাম দুনিয়ার মুসলমান প্রতিহত করবে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আলম বলেন, সুইডেনে কোরআন পোড়ে নাই। বিশ্ব মুসলমানের কলিজা পুড়েছে। সাবধান করে দিতে চাই, কোরআনের ওপর কোনো আঘাত হানবেন না। রমজান এলেই ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা আসে। বিশ্বের জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। ওআইসি কোথায়? তাদের ঘুম ভাঙছে না কেন? জাতিসংঘ অতিমানবতার খাতিরে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওয়াইসি ও জাতিসংঘে যদি এই সরকার ভূমিকা পালন না করে, তাহলে আমরা মনে করব এই সরকার ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রæ হচ্ছে ইহুদি। আমাদের ইসলামি বিশ্বনেতারা শত্রæকে আজ বন্ধু বানাচ্ছে আর বন্ধুকে শত্রæ বানাচ্ছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর আশরাফ আলী আকন্দ, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর নাইটেঙ্গল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।