মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইদানীং সমানে একের পর এক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। এমনকী, আমেরিকা, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলিকে হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে সেদেশের শাসক কিম জং-উন এবং তার বোনকে।
এই গোটা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ আমেরিকা। তারা মনে করছে, এর কঠোর ও যোগ্য উত্তর দেওয়া দরকার। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। সোমবার একথা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার জন্য নিযুক্ত আমেরিকার বিশেষ রাষ্ট্রদূত সাং কিম। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, এখনও উত্তর কোরিয়ার সামনে আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে।
চলতি বছর এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ বার মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করেছে পিয়ংইয়ং। এরপর আর দেরি করেনি আমেরিকা। উত্তর কোরিয়ার অন্তিম দফায় (এখনও পর্যন্ত) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরই দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন সাং কিম। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়ার উপর যেসমস্ত আর্থিক বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে, তারই জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছেন কিম।
কিম এমন অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলতে চাইছেন, যাতে শত্রুপক্ষকে প্রয়োজনে নিকেশ করতে পারেন! যা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে আমেরিকা, কারও পক্ষেই খুব একটা স্বস্তির খবর নয়। আসলে আর্থিক বিধিনিষেধ আরোপ করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ প্রয়োগ করেছে। এবার তাই পালটা চাপের খেলা শুরু করেছেন কিমও। সমস্যা হল, উত্তর কোরিয়ার উপর বাকিরা মূলত আর্থিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করলেও জবাবে কিম সবসময়েই প্রাণে মারার, ধ্বংস করার হুমকি দেন!
ইতিমধ্যেই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কোভিডের কোপে গোটা পৃথিবীর অর্থনীতি ধুঁকছে। তার উপর কিম যদি তার শত্রুদের উপর হামলা শুরু করেন, তখন তারাও নিশ্চয় হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। জবাব অবশ্যই দেবে। যার নিট ফল হল, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, প্রাণহানি এবং সম্পদহানি। যাতে দিন শেষে কারও ভালো হওয়া সম্ভব নয়।
এই অবস্থায় ফের একবার কিমকে নরমে-গরমে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করল আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। এই প্রসঙ্গে সাং কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যে আচরণ শুরু করেছে, তাতে তাদের জবাব দেওয়াটা জরুরি। কিন্তু, আমরা বরাবরই আলোচনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই, কোনওরকম শর্ত না রেখে সব পক্ষ আলোচনায় বসুক।’
তবে, উত্তর কোরিয়া যদি আলোচনায় প্রস্তুত না হয় এবং আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই থাকে, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আমেরিকা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেই জানিয়েছেন সাং। একইসঙ্গে, উত্তর কোরিয়ার প্রতি তার বার্তা, বন্ধ দরজার আড়ালে কোনও গোপন শলাপরামর্শ নয়। আলোচনা হতে হবে প্রকাশ্যে। সমস্ত স্বচ্ছতা বজায় রেখে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।