মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পরও আক্রান্ত দেশটিকেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় আসা উচিত বলে মনে করেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন দার্শনিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি। গতকাল সোমবার জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১৩ এপ্রিল কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক চমস্কি এসব কথা বলেন।
সবাইকে বৈশ্বিক বাস্তবতার দিকে নজর দিতে হবে জানিয়ে নোয়াম চমস্কি বলেন, পরমাণুযুদ্ধের ‘ক্রসফায়ারে’ পড়ে ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে রাশিয়ার দাবির প্রতি ইউক্রেনকে অবশ্যই নমনীয় মনোভাব দেখাতে হবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক চমস্কি বলেন, আমরা এখন যে নীতি মেনে চলছি তা হলো, শেষ ইউক্রেনীয় বেঁচে থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। এ নীতি মেনে চললে পরমাণুযুদ্ধের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া আরেকটি বিকল্প হচ্ছে কূটনৈতিক সমাধান। এ সমাধান সবার জন্য সুখকর কিছু হবে না। কারণ এটি মূলত পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠদের জন্য এ যুদ্ধ থেকে পালানোর পথ তৈরি করে দেবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি, মূল বিষয়টি হচ্ছে ইউক্রেনের ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ নিশ্চিত করা। সঙ্গে ডনবাস অঞ্চলের বাস্তবতা, অর্থাৎ ইউক্রেনের ফেডারেল কাঠামোর মধ্যে থেকেই সে অঞ্চলে ব্যাপক পরিসরে স্বায়ত্তশাসনের প্রতিষ্ঠা এবং আমরা মানি বা না মানি, এটা বুঝে নিতে হবে যে, ক্রিমিয়া নিয়ে কোনো ধরনের দাবিদাওয়া আলোচনার টেবিলে নেই।
চমস্কি আরো বলেন, এ বাস্তবতা আপনারা নাও মানতে পারেন। ধরুন আমরা জানতে পারলাম যে, আগামীকাল একটি ঘূর্ণিঝড় হবে। এখন ‘ঘূর্ণিঝড় পছন্দ করি না’ বা ‘ঘূর্ণিঝড়ের অস্তিত্ব মানি না’-এসব কথা বলে তো আপনি ঝড় থামাতে পারবেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করব না উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক চমস্কি আরও বলেন, জেলেনস্কি বেশ সাহসের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তার জায়গা থেকে তাকে দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন বা তার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, পেন্টাগনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদেরও যুদ্ধে যোগ দেওয়া সুযোগ আছে। জেলেনস্কিকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেয়া যেতে পারে। এমনটি হলে পুতিনও ইউক্রেনে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। ইউক্রেনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ক্ষমতা রাশিয়ার আছে। অস্ত্র সরবরাহের পথেও হামলা চালানোর সক্ষমতাও তাদের আছে। এভাবে আমরা জটিল এক যুদ্ধে জড়িয়ে যাব। পরমাণুযুদ্ধের ক্রসফায়ারে পড়ে আমরা সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।
তিনি বলেন, তাই আমি জেলেনস্কির সমালোচনা করছি না। তিনি সম্মানিত মানুষ। তিনি অনেক সাহস দেখিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো যেতেই পারে। কিন্তু, সবাইকে বৈশ্বিক বাস্তবতার দিকেও নজর দিতে হবে। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।