রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে খাদ্যপণ্যের দাম। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ- মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিশ্বে ভোজ্য তেল, খাদ্যশস্য, চিনি, গোশতসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ১৩ শতাংশ। শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ একথা জানিয়েছে।
সূচক বলছে, গত এক মাসে বিশ্বে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ, খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ, চিনির দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ, গোশতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশ।

এ বিষয়ক এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৈশ্বিক খাদ্যপণ্য মূল্যসূচকের যাত্রা শুরু হয় আজ থেকে ৬০ বছর আগে। গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দামের এই পরিমাণ উল্লম্ফণ দেখা যায়নি। বৈশ্বিক বাজারে ভোজ্য তেল, বিশেষ করে সূর্যমুখী তেল ও খাদ্যশস্যের সবচেয়ে বড় যোগান আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। কিন্তু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় এ দু’টি দেশ থেকে যোগান আসা একেবারেই কমে গেছে। ফলে এই দুই পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে চিনি-গোশত ও দুধের দামও। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা গত মাসে সতর্কবার্তা দিয়েছে- বছরের শেষ নাগাদ খাদ্যপণ্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনে কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়াই হবে এই মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং আর্জেন্টিনার মতো অন্যান্য বৃহৎ শস্য উৎপাদনকারীরা শূন্যস্থান পূরণের জন্য দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে পারে কিনা তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তবে কৃষকরা যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও সার ব্যয় বৃদ্ধির মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সূত্র : এপি।