মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত চীন। বিশ্বে ক্ষমতার সমীকরণ বদলে দিতেও চায় তারা। এজন্য যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যদি যুদ্ধ করতে হয় তারও প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এ পরিকল্পনা সফল করতে মস্কোকে পাশে চাইছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারে দেশটি বলে দাবি করেছেন চীন-আমেরিকা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ জনাথন ডি টি ওয়ার্ড। -ফক্স বিজনেস
সম্প্রতি, ‘ফক্স বিজনেস’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জনাথন। সেখানে চীনের বর্তমান মনোভাব সম্পর্কে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মারিয়া বার্তিরমো। উত্তরে ‘অ্যাটলাস অর্গানাইজেশনে’র প্রধান বলেন, বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় ইউরোপের দেশগুলোর কাছে নিজের স্বচ্ছ ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছে তারা (চীন)। কিন্তু আসলে তারা মস্কোকেই সমর্থন দিচ্ছে। জনাথন জানান, দীর্ঘমেয়াদে চীনের কৌশল হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে জোট গড়ে তোলা। আমেরিকা ও এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে মস্কোকে পাশে চাইছে বেইজিং।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিবাদ করেনি চীন। জাতিসংঘে মস্কোর বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে বেইজিং। শুধু তাই নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ কিছুটা লাঘব করতে পুতিন প্রশাসনকে বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মদদ দিচ্ছে চীন বলেও খবর। মাস্টার কার্ড ও ভিসার মতো আর্থিক লেনদেন সংস্থাগুলো রাশিয়ার কাজ বন্ধ করার পর চীনা সিস্টেম ব্যবহার করছে দেশটি।
বহুদিন আগেই চীনা মানসিকতা স্পষ্ট করে ২০১৩ সালে ‘অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট’-এর ‘দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট’ পত্রিকায় লিখেছিলেন চীন-বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ ও ‘অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভিজিটিং ফেলো জিওফ ওয়েড। চায়না’জ সিক্স ওয়ারস ইন দ্য নেক্সট ফিফটি ইয়ার্স-এ লিখেছিলেন, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে চীন ছটি যুদ্ধ লড়তে প্রস্তুত হচ্ছে, যা বিশ্বে তাদের কর্তৃত্ব কায়েমের পাশাপাশি ‘হাইপার ন্যাশনালিস্ট’ চরিত্রও প্রতিষ্ঠা করবে।
চীনের সেই ছয় যুদ্ধের প্রথমটি তাইওয়ান দখল। ‘ঝংগুও শিনওয়েং শি’র ছক অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে চীন ওই লক্ষ্য পূরণে আগ্রহী। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ চীন সাগরের যে দ্বীপগুলোয় নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েমের জন্য চীন বদ্ধপরিকর, পরের পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০৩০-এর মধ্যে তা তারা হাসিল করতে চায়। তৃতীয় যুদ্ধ, অরুণাচল প্রদেশ দখলের লক্ষ্যে। ভারতের এ অঙ্গরাজ্য তাদের চোখে ‘দক্ষিণ তিব্বত’। নিয়মিত ভারতকে তারা তা মনেও করিয়ে দেয়। এ অসমাপ্ত কাজ তারা সারতে চায় ২০৩৫ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে।
চতুর্থ লক্ষ্য হলো, ২০৪০-৪৫-এর মধ্যে পূর্ব চীন সাগরে ডিয়াওইউডাও ও রিউকিউ অর্থাৎ, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ ‘পুনরুদ্ধার’। পঞ্চম যুদ্ধের লক্ষ্য, ২০৫০-এর মধ্যে বহির্মঙ্গোলিয়া দখল। আর এসব লড়াইয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জোট বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। তাই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের ফসল ঘরে তোলার কাজটি সম্পন্ন করছে বেইজিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।