Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞায় বাধা অরবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইউক্রেন অভিযানের কারণে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার বিরুদ্ধে খুব একটা কাজে আসছে না। এর কারণ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপরে তাদের নির্ভরশীলতা এবং কিছু সদস্য দেশের অনিচ্ছা।

হাঙ্গেরির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার বিপুল লাভজনক জ্বালানি সেক্টরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একক বৃহত্তম বাধা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। তেলের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার জন্য ইইউ ব্লক জুড়ে চাপ তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় আইন প্রণেতাদের একটি অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ রাশিয়ান তেল, গ্যাস এবং কয়লার উপর ‘অবিলম্বে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা’ দাবি করেছে। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতারা, সেইসাথে ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড এবং বাল্টিকের সরকারগুলো এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছে।

তবে ইইউ’র সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য ও সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে খুব দ্রুত অগ্রসর হতে নারাজ, এমনকি রাশিয়ার কয়লা আমদানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের বিষয়টিও তারা বিলম্বিত করতে চাইছে। কিন্তু এমনকি বার্লিনেও একটি ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে যে, তেলের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অর্থ প্রদান শেষ পর্যন্ত বন্ধ করতে হবে। তবে ইইউ সদস্য আরেক দেশ হাঙ্গেরি ব্যতিক্রম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন কূটনীতিক বলেন, ‘অবশেষে জার্মানি কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন আমাদের একটি হাঙ্গেরি সমস্যা আছে।’

অরবান এবং তার দলের মতে, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞাগুলো এতই গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রাসেলসে তাদের প্রতিনিধিদের পরিবর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দ্বারা আলোচনা করা উচিত। অরবানও স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি তেল এবং গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অবরুদ্ধ করবেন, সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এটি একটি ‘লাল রেখা’ হবে কারণ রাশিয়ান জ্বালানি আমদানি বন্ধ করা ‘হাঙ্গেরিকে হত্যা করবে’।
তত্ত্বগতভাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাগুলো অবশ্যই সর্বসম্মত হতে হবে। কিন্তু কোন সদস্য দেশ নিষেধাজ্ঞা অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে আগ্রহী দেশগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে দ্বি-পাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। আরেকজন ইইউ কূটনীতিক বলেছেন যে রাশিয়ান গ্যাসের উপর দেশটির নির্ভরতার কারণে হাঙ্গেরির উদ্বেগের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ান তেল আরও সহজে অন্যান্য সরবরাহকারী দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে। আরেকটি মূল প্রশ্ন হল জার্মানির নেতৃত্বে অন্যান্য আরও সন্দেহপ্রবণ ইউরোপীয় দেশগুলো কত দ্রুত রাশিয়ান তেলের উপর তাদের নির্ভরতা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক হবে।

গত সপ্তাহ পর্যন্ত, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া তেল বা গ্যাসকে লক্ষ্যবস্তু করার দৃঢ় বিরোধিতা করেছিল, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউরোপের জন্য মন্দা এবং ব্যাপক দারিদ্র্যের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন দিয়েছিল। তবে কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, বার্লিন তেল আমদানি বন্ধ করার বিরোধিতায় নমনীয় হয়েছে। পূর্বে, জার্মানি বলেছে যে, চুক্তি পরিবর্তনের অর্থ হবে তারা রাশিয়ান তেল আমদানি ৩৫ শতাংশ থেকে ২৫শতাংশে কমিয়ে আনতে পারে ‘আসন্ন সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে।’ সূত্র : পলিটিকো।



 

Show all comments
  • MD Rafsan Jani ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
    যুদ্ধ যেমন সমাধান নয়,তেমন নিষেধাজ্ঞাও যুদ্ধ থামাতে সক্ষম নয়। এই মূহুর্তে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে শান্তি চুক্তিতে যাওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Mondul ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
    ইউক্রেন আসলে বুঝতেছেনা যুদ্ধ তারা করতেছে না তাদেরকে যুদ্ধ করানো হচ্ছে। যুদ্ধ করা হচ্ছে মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ন্যাটো g7 আমেরিকার মধ্যে। ইউক্রেন হচ্ছে শুধু একটা মাধ্যম। আমেরিকার চাই যুদ্ধটা বেশি দিন ধরে চলুক। এতে আমেরিকার অনেক লাভ এর দ্বারা রাশিয়া কিছুটা দুর্বল হবে। আর আমেরিকা তাদের সামরিক অস্ত্র বিক্রি করবে। ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করা। না হয় চরম বোকামি হবে। রাশিয়া নাটোকে ইউক্রেনে আসতে দেবে না ‌ । কারণ হচ্ছে রাশিয়ার বাড়ির উঠোনের মত । I
    Total Reply(0) Reply
  • Ibrahim Mazumder ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৪ এএম says : 0
    বিনা অপরাধের স্বাধীন দেশে অন্য দেশ আক্রমন করলে সব বন্ধ করে দেওয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Shorif Khan Jahan ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
    আমার মনে হয়। বর্তমান রাশিয়া ইউক্রেনের এই পরিস্থিতিতে। জারা বিশ্ব নেতা হিসাবে পরিচয় দেয় তাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। এবং এই পরিস্থিতিতে এদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো। যদি তাই না হয়ে তাহলে অন্য দেশগুলো ইউক্রেনকে সেনাবাহিনী দিয়ে সহায়তা করা উচিৎ। আর না হয়ে ইউক্রেন ধংসে পরিনত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Taufiqur Rahman Opu ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
    ধীরে হলেও রাশিয়ায় প্রভাব পড়বে। রাশিয়া ছাড়া অন্য দেশগুলোকে এ যুদ্ধের কারনে অর্থনৈতিক বিরুপ অবস্থা থেকে মুক্ত রাখার কৌশল নিয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি।
    Total Reply(0) Reply
  • XYZ ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১০:০৩ এএম says : 0
    পরমানু হামলা করে ইউক্রেন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ধুলায় মিশিয়ে দওয়া উচিত রাশিয়ার ৷
    Total Reply(0) Reply
  • XYZ ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১০:০৩ এএম says : 0
    পরমানু হামলা করে ইউক্রেন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ধুলায় মিশিয়ে দওয়া উচিত রাশিয়ার ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ