Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোজা আসতেই নারায়ণগঞ্জে বাজার গরম, সবজির বাজারে আগুন

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২২, ২:৪৩ পিএম

রমজান মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জের শহর ও শহরতলীর বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রমজানের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বেড়েছে মাছ-মাংসের পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত নিত্যপণ্যের।
এছাড়া আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি ও মাছ। এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। সংযমের মাস রমজানে পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
নগরের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজান মাস কেন্দ্র করে ছোলা, চাল, ডাল ও মসলার দাম আরো বেড়েছে। তবে নতুন করে বাড়েনি পিয়াজের দাম। শহর ও শহরের বাহিরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর একাধিক বাজার ঘুরে জানা যায়, রোজায় সবজি বাজারে বেগুন, লেবু, শশার চাহিদা বৃদ্ধিতে এসব সবজির দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। রোজা শুরু হওয়ার আগ মুহুর্তে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে এই বেগুনের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
হালিপ্রতি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৮০ টাকায়। কিছুুদিন পূর্বে শশা ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, তা বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। টমেটো কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লেবু কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গাজর কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কলা প্রতি আলি ২৫ টাকা, পেপে কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শালগম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে সবজির দাম বাড়লেও ৩০ টাকায় নেমেছে পেঁয়াজ। খুচরা পর্যায়ে গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। আর ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে চিনির মূল্য পূর্বের ন্যায় ৮০ টাকা কেজি হলেও বেড়েছে ছোলা, চাল ও মসলার দাম। কেজি প্রতি ছোলা ৭৫-৮০ টাকা, দেশি আদা ৯০-১০০, চায়না আদা ৮৫, চায়না রসুন ১০০, দেশি রসুন ৬০-৭০, দেশি মুসরীর ডাল ১৩৫, ইন্ডিয়ান মুশরীর ডাল ৯৫ থেকে ১২০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫৫, বুটের ডাল ৯০, ভাজা মুগ ডাল ১৮০, কাঁচা মুগডাল ১৪০, ডাবলী ৫৫, আটা ৪২, ময়দা ৬০।
এছাড়া মিনিকেট চাল ৬৬, নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি করেছেন ৭৪০ থেকে ৭৬০ টাকা।পাইকারী বাজারের চেয়ে শহরতলীর খুচরা দোকানে পণ্যের মূল্য এরচেয়েও বেশি।
এদিকে গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। এছাড়া লেয়ার ২৬৫ ও কক মুরগি ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৫০০, মাঝারি ৪৫০ ও ছোট মুরগি ৪০০ টাকায়
বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিও বিষয়ে ব্যবসায়ী রিপন কুমার দাস বলেন, আমরাই বেশি দামে জিনিস কিনে আনতাছি এজন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অতিরিক্ত দামে অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করে ক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি কয়েকদিন আগেও লেবু আর বেগুন কিনে নিয়ে গেলাম। আজকে এগুলোর দাম দ্বিগুণ করে ফেলছে।
রমজানে যেসব খাবারের চাহিদা থাকে সেসব জিনিসের দাম বাড়ায় ফেলছে। হটাৎ করে কেন সব জিনিসের দাম দ্বিগুণ হবে? এটা আর কিছুনা, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এর জন্য দায়ী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দ্রব্যমূল্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ