শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বৃক্ষের চাহিদা
রফিক হাসান
বৃক্ষকে কোথাও যেতে হয় না থিতু হয়ে দাঁড়িয়ে
মাটির গভীরে শিকড় চারিয়ে দিলেই হলো
আকাশ বাতাস সব তার কাছে হয় নতজানু
কোটি কোটি মাইল দূর হতে কাছে আসে অরুণ
যোগায় সেনালী কিরণ শরীরের প্রধান খাদ্য
বৃক্ষ বড়ই ভাগ্যবান শিকারের পিছনে ছুটে
ছুটে ঝরাতে হয়না ঘাম মেটে সকল প্রয়োজন
অবলিলায় মেঘের পালকি চড়ে আসে মিষ্টি জল
মাটি থেকে আহরিত রস দিয়ে ফোটায় স্নিগ্ধ ফুল
সুবাস ছড়িয়ে জানান দেয় সুমহান অস্তিত্ব
বায়ূ এসে কেমন শরীরে বুলিয়ে দেয় আদর
বৃক্ষ বড় উদার পিপিলিকা, পোকামাকড়, পাখি
সব টেনে নেয় বুকে পথিকেরে দেয় ঠান্ডা ছায়া
বৃক্ষ বড় সোহাগী ভালোবাসা ছাড়া কিছুই চায় না
মুখোশের জবানবন্দি
মজনু মিয়া
আমি দেখেছি সব রাতে কিংবা দিনে
তুমি অন্ধ ছিলে তারে বীনে।
দেখেছি চলতে পথে বাঁকা কিংবা সোজা
এ দিক ও দিক ছুটছ তারেই খোঁজা।
একদিন চশমার আড়ালে চেয়ে দেখি
হাতের আংগুল নড়েচড়ে সেকি!
অথচ জলের শামুক ঝিনুক চেয়ে আছে
ছিঃ ছিঃ করছে ছোট বড় মাছে!
গাছের ফাঁকে ডাহুক ডাকে
নড়ে দুয়েক পাতা
একটু দূরে পড়ে আছে জামার
খোলা হাতা!
মুখোশ আমার মুখ ভেংচিয়ে
অন্য দিকে থাকে
যাতে করে মুখের উপর
কাদা নাহি লাগে!
অধরা আক্ষেপ
ঝুটন দত্ত
তোমাকে দেখার পর আর কিছুই দেখা হয়নি আমার,
অতঃপর ধোঁয়াসা আর শূন্যতার হাহাকারে সঁপেছি নিজেকে।
দূরদেশের মিসৌরির মতো তুমিও
প্রানের স্পন্দনে জাগাতে পার ঢেউ,
তোমাকে ছাড়া সেই কবে থেকে পঙ্গু, বধির, অর্থহীন আমি;
একটা ঠিকঠাক ভাষার সেতু নির্মাণ করতে পারিনা বলেই
হয়তো আজও অধরা আক্ষেপে থাক নদীর দুই তীর হয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।