Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেসখেতিয়ান মুসলিমদের উদ্ধার করল তুরস্ক

কৃষ্ণ সাগরে মাইনের মতো বস্তু, জাহাজ চলাচলে সতর্কতা জারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ১২:৩৮ এএম

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেসামরিক ব্যক্তিরা। তুর্কি বংশোদ্ভ‚ত মেসখেতিয়ান মুসলিম স¤প্রদায়ও এ যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হন। এসব মেসখেতিয়ান মুসলিমদের উদ্ধার করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তুরস্ক। শনিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ডেইলি সাবাহ। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তুর্কি বংশোদ্ভ‚ত মেসখেতিয়ান মুসলিম স¤প্রদায়ের লোকদের ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মেসখেতিয়ান মুসলিমদের স্থলপথে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহর থেকে ৯০ জন মেসখেতিয়ান মুসলিমকে বাসে করে নিরাপদে তুরস্কে নিয়ে আসা হয়। ইউক্রেনের ওই মাইকোলাইভ শহরে এখন ভয়ঙ্কর সঙ্ঘাত চলছে। তুরস্ক কর্তৃক উদ্ধারকৃত এসব মানুষদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। পরে শরণার্থীদের নিয়ে আসা এসব বাস হামজাবেলি বর্ডার গেট দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে। এ হামজাবেলি বর্ডার গেটটি তুরস্কের বুলগেরিয়া সীমান্তে অবস্থিত। পরে মেসখেতিয়ান মুসলিমদের নিয়ে আসা বাসগুলোকে স্বাগত জানান তুরস্কের শরণার্থী বিভাগের কর্মকর্তারা। যুদ্ধকবলিত অঞ্চল থেকে ছোট শিশুদের সাথে নিয়ে আসা মেসখেতিয়ান মুসলিম নারীরা নিরাপদে তুরস্কে আসতে পেরে খুশি। কিন্তু, অনেকে স্বামী ও স্বজনদের ফেলে আসার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আনাদোলু এজেন্সিকে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বিষয়ে জুলেহা ইজাতোভা নামের এক নারী বলেন, ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গোলাবর্ষণের কারণে সেখানে বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজের দুঃখ প্রকাশ করে জুলেহা ইজাতোভা নামের ওই নারী বলেন, আমরা ওই এলাকা থেকে বের হয়ে যেতে পারলেও আমার তিন সন্তান সেখানে আটকা পড়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ২২,২৬ ও ২৭ বছর। আমার স্বামীও সেখানে আটকা পড়েছেন। আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে নিতে পারলেও আমাদের মন ও হৃদয় ওই ইউক্রেনেই আছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সব স্থানে এখন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ান যোদ্ধারা তাদের ট্যাঙ্ক ও কামান সাথে করে নিয়ে এসেছেন এবং সর্বত্র গোলাবর্ষণ করছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, কয়েক দিন আগে রাশিয়া সতর্ক করে জানায় ইউক্রেনের একটি বন্দর থেকে কয়েকটি মাইন ভেসে গেছে। শনিবার তুরস্ক জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে ইস্তাম্বুুলের কাছে ‘মাইনের মতো একটি বস্তু’ পাওয়া গেছে। সেটি পরীক্ষা করে দেখছে একটি টিম। এই সময়ে ওই এলাকা দিয়ে জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ওই বস্তুটি নিরাপদ করে রেখেছে দলটি। এছাড়া এটি অকেজো করার কাজ শুরু হয়েছে। উপক‚লীয় নিরাপত্তা দফতর কর্তৃপক্ষ জানায় ওই বস্তুটি প্রথম শনাক্ত করে জেলেরা। কৃষ্ণ সাগরে যুক্ত বসফরাস প্রণালী সংশ্লিষ্ট এলাকায় এটি দেখতে পেয়ে জেলেরা কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে। ওই দফতরের মুখপাত্র জানান, কর্তৃপক্ষ এক রেডিও বার্তায় ওই এলাকায় চলাচল করা জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে। এটি মাইন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে। গত সোমবার রাশিয়ার মূল গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ইউক্রেনীয় বন্দরের কাছ থেকে তার ছিড়ে বেশ কয়েকটি মাইন সাগরে ভেসে গেছে। তবে কিয়েভ এই তথ্যকে ভুয়া খবর আখ্যা দেয়। তাদের দাবি, সাগরের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করতে এই তথ্য ছড়িয়েছে মস্কো। রয়টার্স, ডেইলি সাবাহ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ