Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আশুলিয়ায় চিরকুট লিখে কারখানার ভিতরে কর্মকর্তার আত্মহত্যা

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২২, ৪:৫৮ পিএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি প্যাকেজিং কারখানার ভেতর থেকে ব্যবস্থাপকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর আশুলিয়ার জামগড়ার এলাকার আব্দুল হাসনাতের মালিকানাধীন বাগদাদ প্যাকেজিং কারখানার ভেতরে আড়ার সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার আগে চিরকুটটি লিখে যান বলে ধারনা পুলিশের
নিহত সাইফুর রহমান (৩৩) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পূর্ব শেখেরপাড়া এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। সে বাগদাদ প্যাকেজিং কারখানার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চিরকুটে লিখা রয়েছে- আমার কারো ওপর কোন মান-অভিমান, রাগ নেই। আল্লাহর জন্য আমি সবাইকে ভালবাসি। আমার এই লাশ আমার মায়ের কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন বা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ্ আমার জীবনে করে যাওয়া কোন কাজের জন্য উসিলা হিসাবে কবুল করে আমাকে মাফ করে দেন। রফিক দুলাভাই অনেক ভাল লোক। যখনই আমি কোন সমস্যায় পড়তাম তখন রফিক ভাইয়ের কাছে গেলে আপন ভাইয়ের মত পাশে দাঁড়াতেন। বুকে আগলিয়ে রেখে পরামর্শ দিতেন। ভাই আপনি সাইমুনকে আপনার ছোট ভাইয়ের মত আগলিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। সাইমুন তুমি রফিক ভাইকে বাবার মত সম্মান করবে। আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দেন।
চিরকুটের শেষের লাইনে তার স্ত্রীকে নতুন সংসার করার ইঙ্গিত দিয়ে লেখেন, ‘খুব দ্রুত সংসার জীবন শুরু করবা। আমার জন্য দোয়া করবা আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন।’
বাগদাদ প্যাকেজিং কারখানার মালিক আব্দুল হাসনাত জানান, নিহত সাইফুর রহমান তার ভাগিনা। খুবই ফরেজগার ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কারো সাথে বিরোধ ছিল না তবে কেন সে আত্মহত্যা করলো এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন না।
প্রায় এক মাস আগে সাইফুর বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করলেও কারখানার ভেতর একা একটি রুমে থাকতেন আর নববিবাহিত স্ত্রী থাকতেন গ্রামের বাড়িতে বলেন তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, কারখানার ভিতরে একটি রুমে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ