Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

‘যাদের বোমায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে তারাই পুতিনকে বলছেন যুদ্ধাপরাধী’

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২২, ১২:২৩ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করার পর, ক্রেমলিন ত্বরিত এক প্রতিক্রিয়ায় একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য’ বাগাড়ম্বর বলে আখ্যা দিয়েছে।

বুধবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনকে প্রথমবারের মত ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে আখ্যা দেন মি. বাইডেন। পুতিনকে ওই আখ্যা দেবার বিষয়ে বাইডেনের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন। তবে পরে হোয়াইট হাউজ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, বাইডেন "স্পিকিং ফ্রম হিস হার্ট" বা ‘অন্তর থেকে’/ ‘মন থেকে’ কথা বলছিলেন।

এদিকে, ক্রেমলিন এই মন্তব্যকে বলছে, ‘ক্ষমার অযোগ্য’ বাগাড়ম্বর। রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেছেন, ‘একজন রাষ্ট্রনেতার কাছ থেকে এ ধরণের বাগাড়ম্বর অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিশেষ করে যাদের ছোড়া বোমায় সারা দুনিয়ায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।’

বাইডেনের বক্তব্যের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ নতুন করে আরো একটু চড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াশিংটনে জো বাইডেনকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘সব কিছু দেখার পর আপনি কি পুতিনকে এখন যুদ্ধাপরাধী বলবেন?’ প্রশ্নের জবাবে শুরুতে বাইডেন ‘না’ বললেও, পরে তিনি হঠাৎই মত বদলে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি জানতে চাইছেন আমি তাকে বলবো কি না...? ওহ, আমি মনে করি তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী।’

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি পরে বলেছেন, ইউক্রেনে ‘বর্বর’ হামলার চিত্র দেখে, আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা না দিয়ে প্রেসিডেন্ট মন থেকেই ওই কথা বলেছেন। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজন্য যুদ্ধাপরাধ কী তা চিহ্নিত বা শনাক্ত করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের আলাদা আইনি প্রক্রিয়া আছে, এবং সে কাজটি পৃথকভাবে চলছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া এক ভার্চুয়াল ভাষণে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পার্ল হারবার এবং নাইন ইলেভেনের মত এবং তা মোকাবেলায় পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরো সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি পরে ইউক্রেনের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং চেচনিয়াতে রাশিয়ার যত সৈন্য মারা গেছে তার চেয়ে বেশি রুশ সেনা ইউক্রেনে মারা গেছে।

এদিকে, যুদ্ধের ২১তম দিনে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে রাশিয়া এক থিয়েটারে বোমা ছুড়েছে যেখানে প্রায় ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কৌশলগত ১০০টি মানব-বিধ্বংসী ড্রোন, রকেট ও গ্রেনেড লঞ্চার, রাইফেল, মেশিন গান, বডি আর্মার এবং গোলাবারুদসহ ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এপি এই সিদ্ধান্তের সাথে ঘনিষ্ঠ একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার বাইডেন প্রশাসনের এই সামরিক সহায়তা পাঠানোর কথা জানায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যেসব অস্ত্র পাঠানো হবে তার মধ্যে আছে সুইচব্লেড ৩০০ নামে ড্রোন-যা মার্কিন বাহিনীর কাছে ‘কামিকাজি ড্রোন’ নামে পরিচিত। এটি ব্যাকপ্যাকের মত পরা যায় এমন অস্ত্র।

কংগ্রেসের কর্মকর্তারা এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি মূলত কোন ‘ব্যক্তির ওপর সুনির্দিষ্ট আঘাতের’ জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা। এই ক্ষেপনাস্ত্র বহু মাইল দূরে থেকে সরাসরি তার লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত করতে পারে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মূলত রাশিয়ার নকশায় তৈরি এসব অস্ত্র এখন নোটোভুক্ত কিছু ইউরোপীয় দেশ উৎপাদন করছে। আর সেজন্যই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সহজেই এগুলো ব্যবহার করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি।



 

Show all comments
  • Bojlur Rahaman ১৭ মার্চ, ২০২২, ১:০৫ পিএম says : 0
    It was not the German tanks or army to whom whole Europe surrendered in World war II, but it was due to the order of Vatican whole catholic Europe (France, Austria, Spain etc.....) surrendered to German tanks without a fight in the world war 2. Vatican.s aim was to dethrone communism in Soviet Union and Protestants from Britain. USA is doing the same thing, their target is again to nuke the muslim world.
    Total Reply(0) Reply
  • MD.RAJU ১৭ মার্চ, ২০২২, ৫:০০ পিএম says : 0
    AFTER 2ND WORLD WAR WESTERNS DOING WARCRIME CONTINUE. SPECIALLAY IN ISLAMIC COUNTRIES.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ