Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বের খাদ্য সরবরাহকে ধ্বংস করছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ৫:২১ পিএম

ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্বের খাদ্য বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সোমবার রাশিয়া তার সর্বশেষ গম রফতানির পরিমাণের তথ্য প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ি এখনি কোন বিপদের কারণ না থাকলেও ভবিষ্যতে সঙ্কট আরও বাড়তে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মে গম কাটা হয় এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেশিরভাগ জাহাজ চলে যায়।

বিশ্বব্যাপী মোট গম রফতানির ২৯ শতাংশই আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ইউক্রেনে ফসল এই বছর রোপণ করা যাবে না; রাশিয়ার অভিযানের মাঝে খুব কম লোকই তাদের শস্য কেনার আর্থিক ও সুনামগত ঝুঁকি নিতে চাইবে। উভয় দেশই গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ, রাশিয়া এবং ইউক্রেন আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জন্য রুটির প্রধান বাস্কেট।

যুদ্ধরত দেশগুলো বার্লি থেকে সূর্যমুখী পর্যন্ত অন্যান্য অনেক প্রধান প্রধান ফসলের শীর্ষ পাঁচটি রফতানিকারকের মধ্যেও রয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের খাদ্য রফতানি বিশ্বব্যাপী ট্রেড করা ক্যালোরির ১২ শতাংশ। রাশিয়া এবং বেলারুশ, যারা নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে, সারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর প্রধান সরবরাহকারী। যাইহোক যুদ্ধ শেষ হলেও মানুষ ক্ষুধার্ত থেকে যাবে।

এদিকে, জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ক্ষুধার তাণ্ডব ও বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহে সুদূর প্রসারী বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে, যা দরিদ্রদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ও দেশ গুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’তিনি বলেন, যুদ্ধের আগেও উন্নয়নশীল দেশগুলো মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছিল। এখন তাদের রুটির ঝুঁড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে। ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্ধেকেরও বেশী গম সরবরাহ করে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য মূল্য সূচক সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে এবং বিশ্বের ৪৫টির বেশী দেশ তাদের গমের চাহিদার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে আমদানি করে। এসব দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, মিশর, কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধ্বংস

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ