মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সাথে গতকালকের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৈঠকের পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। এতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুও জড়িত ছিলেন।
ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে গতকাল তুরস্কের আন্টালিয়াতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজিত হয়। বৈঠকটি পরিচালনা করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলু। বৈঠকের পরে দেয়া বিবৃতিতে ল্যাভরভ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন কখনই যোগাযোগ রাখতে অস্বীকার করেননি, আমরা শুধুমাত্র নিশ্চিত হতে চাই যে, যোগাযোগের স্বার্থে যোগাযোগ রাখা হবে না বরং নির্দিষ্ট চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা করার জন্য হবে। আমরা আজ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এবং আমি তাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলাম যে, আমরা সবসময় এমন আলোচনায় আগ্রহী যার মাধ্যমে ফলাফল আসতে পারে এবং সমস্যাগুলো সমাধান হতে পারে।’
ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া শেষ পর্যন্ত ক‚টনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে চেয়েছে।’ তার মতে, কিয়েভ বিগত বছরগুলোতে মিটিং চেয়েছিল কিন্তু তার বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন এড়িয়ে যায়। ‘আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, যখন কিয়েভ দ্বারা মিনস্ক চুক্তিগুলো সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করা হয়েছিল তখন জেলেনস্কি (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) বলতে থাকেন, ‘চলুন দেখা করা যাক, আসুন শেষ পর্যন্ত আবার দেখা করি।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘২০১৯ সালে, সেখানে যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছিল সেগুলো কিয়েভে নির্দেশিত হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর কোনওটিই বাস্তবায়িত হয়নি, তারা আবার আরেকটি বৈঠকের জন্য আহŸান জানাতে শুরু করেছে।’
ল্যাভরভ যোগ করেছেন যে, পুতিন জেলেনস্কির সাথে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেননি তবে এই ধরনের আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়া উচিত। ‘প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে, তারা বেলারুশের আয়োজনে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চলছে, তিন দফা আলোচনা হয়েছে, ইউক্রেন আমাদের সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট প্রস্তাব পেয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে, তাই আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি।’
বৈঠকের পর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি ‘বিস্তৃত শান্তি চুক্তি’ স্বাক্ষর করার জন্য আলোচনা করছে। তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠকের পর তুরস্কের ভ‚মধ্যসাগরীয় উপক‚লে আন্টালিয়ায় একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন নিরপেক্ষতা সহ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে এবং একটি বিস্তৃত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও টেবিলে রয়েছে।’ তিনি বলেন, বৈঠকটি ‘সহজ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ‘এ ধরনের বৈঠক থেকে একটি অলৌকিক ঘটনা আশা করা উচিত নয়’। আলোচনা চলাকালীন, তুরস্ক জোর দিয়েছে যে, ইউক্রেনের মানবিক করিডোরগুলো কোনও বাধা ছাড়াই খোলা রাখা উচিত, কাভুসোগলু বলেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ২৪ ফেব্রæয়ারি অভিযান শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রথমবারের মতো মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করেছে।
বৈঠকের পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই। রিসোর্টে সাংবাদিকদের কুলেবা বলেন, ‘রাশিয়া এই মুহ‚র্তে যুদ্ধবিরতি স্থাপনের অবস্থানে নেই। তারা ইউক্রেনের কাছ থেকে আত্মসমর্পণ চায়। এটি তারা পেতে যাচ্ছে না। ইউক্রেন শক্তিশালী, ইউক্রেন যুদ্ধ করছে।’ ‘যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি কারণ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার অনুমতি দেয়া হয়নি’, তিনি বলেছেন, ‘তবে উভয় পক্ষই মানবিক পরিস্থিতির সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।’
ইউক্রেনের শীর্ষ ক‚টনীতিক বলেন, ‘আমি এখানে একটি মানবিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, মারিউপোল থেকে একটি মানবিক করিডোরের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে।’ কুলেবা আরও বলেন, বৈঠকে লাভরভের প্রধান বার্তা ছিল যে ‘ইউক্রেন তাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা (রাশিয়া) তাদের আগ্রাসন চালিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ন্যাটো যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত নয় এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং জনগণই এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রæয়ারী, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ডনবাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানদের অনুরোধের ভিত্তিতে একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন। রাশিয়ান নেতা জোর দিয়েছিলেন যে, মস্কোর ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলো দখল করার কোন পরিকল্পনা নেই এবং লক্ষ্য ছিল দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ডিনাজিফাই করা। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি, তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।