Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিরক্ষা কাঠামো আরো উন্নত করছে ইইউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১২:২৪ এএম

নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামো আরও উন্নত করতেও পদক্ষেপ নিতে চায় ইইউ। সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জামের সঙ্গে সঙ্গে সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দেওয়া হবে। নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও শক্তিশালী করা ও সাইবার হামলা প্রতিহত করতে আরও মজবুত অবকাঠামো গড়ে তোলাকেও অগ্রাধিকার দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও আরও স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ। সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে যেমন বাকি সদস্য দেশগুলিও সামরিক সহায়তা করতে বাধ্য থাকে, ইইউ-র ক্ষেত্রেও তেমন এক অনুচ্ছেদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় ইইউ। লিসবন চুক্তির সেই ধারা অনুযায়ী ইইউ-র কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে বাকি দেশগুলিও সেটিকে নিজেদের উপর হামলা বলে গণ্য করবে। তবে সে ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে অন্যভাবে সহায়তা করলেও চলবে। তবে একইসঙ্গে ন্যাটো এবং ইইউ-র সদস্য দেশ হিসেবে আক্রান্ত হলে সামরিক জোটই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করবে। আসন্ন ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করে রাশিয়াকে সতর্ক করে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আসন্ন ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে জ্বালানি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরো স্বনির্ভর হবার অঙ্গীকার করতে চায় ইউরোপীয় রাষ্ট্রজোট ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মুখে বিষয়গুলি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার আচরণ, করোনা সংকট এবং বর্তমানে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা বহির্বিশ্বের উপর ইউরোপের নির্ভরতা স্পষ্ট করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জ্বালানি, কাঁচামালের জোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বার বার সংকট দেখা দিচ্ছে। এমন সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যতটা সম্ভব স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ। সপ্তাহান্তে ফ্রান্সের ভার্সাই শহরে শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা সেই দিশায় যাত্রা শুরু করতে চান। ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল বর্তমানে রাশিয়া থেকে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা কমানোর উপর জোর দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা স্থিতিশীল রাখতে ইউরোপের নিজস্ব ভীত আরও মজবুত করার লক্ষ্যও স্থির করতে চান তিনি। কম্পিউটার চিপের মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ইউরোপের ভ‚খÐে উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত সেই প্রবণতারই অঙ্গ। রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমানো এবং ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া আপাতত ইউরোপের কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়। ভøাদিমির পুতিনকে উচিত শিক্ষা দিতে অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্তের জন্য চাপ বাড়লেও জার্মানির মতো ইউরোপের অনেক দেশের পক্ষে নিজস্ব স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত কার্যত অসম্ভব। কিন্তু ২০৩০ সালের আগেই রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরতা পুরোপুরি দূর করার অঙ্গীকার করছে ইইউ। বর্তমান সংকটের মুখে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আরও তরান্বিত করতে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ইইউ নেতারা। আপাতত অন্য উৎস থেকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি আমদানির জন্যও উদ্যোগ নেবেন তারা। ডয়চে ভেলে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ