মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের ত্রয়োদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশন শনিবার সকালে বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং সরাকারি কার্যবিবরণী পেশ করার সময় বলেন, গত বছর চীনের জিডিপি’র পরিমাণ ছিল ১১৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান; বৃদ্ধির হার ৮.১ শতাংশ। চলতি বছর জিডিপি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেশজুড়ে ১.১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, প্রাকৃতিক পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবরে বলা হয়, সামরিক খাতে ৭ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল চীন। শনিবার বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অফ দ্য পিপল’-এ জাতীয় আইনসভার বার্ষিক অধিবেশনে বাজেট পেশের সময় এই ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে সামরিক খাতে ২৩,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা) খরচ করা হবে। লাদাখ এবং তাইওয়ান ঘিরে উত্তেজনার আবহে ২০২১ সালে প্রথম বার ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি সামরিক খাতে খরচের ঘোষণা করেছিল চীন। এবার তা আরও ৭.১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শি জিনপিং সরকার প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিল। তার পর এ বারই সামরিক খরচে বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। বস্তুত, চীন সরকারের সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির হার জিডিপি বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাপিয়ে গেছে। ২০২২-এ জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। নানা আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি বাজেট বক্তৃতায় নতুন ১ কোটি ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী। তবে একদলীয় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ঘোষণার চেয়ে অনেকটাই বেশি খরচ করে বলে ধারণা পশ্চিমা সামরিক পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোর। সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর ২০২১ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে চীনের সামরিক খাতে প্রকৃত খরচ ছিল ২৫,২০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা)। সে বছর প্রতিরক্ষা খরচের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীন। প্রথম স্থানাধিকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭৭,৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫৮ লাখ ৩ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা) এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ভারত ৭,২৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৬ লাখ ৫৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা) সামরিক খাতে খরচ করেছিল সে বছর। সিআরআই, সিজিটিএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।