Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবীণদের মহসিনের পরিণতি থেকে রক্ষা করতে হবে

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৯ এএম

মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন মহসিন খান। বাংলাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। মহসিনের মতো অনেক মানুষই দেশে আত্মহত্যা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যাকারী মানুষের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। আর বাংলাদেশে এ সংখ্যা বছরে ১০ থেকে ১৫ হাজার। এক সমীক্ষা বলছে, প্রতিদিন দেশে গড়ে ৩৯ জন মানুষ আত্মহত্যা করছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। দেশে সংঘটিত আত্মহত্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বৃদ্ধবয়সী আত্মহত্যাকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। কিন্তু ৫৮ বছর বয়সী মহসিনের আত্মহত্যাটি দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষকে নয়, ঘটনাটি বিশ্ববিবেককে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনা দেশে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। একজন মানুষ যখন মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে এবং এটা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখনই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এক্ষেত্রে মানুষটি সম্পূর্ণ গোপনীয়তা অবলম্বন করে। কিন্তু মহসিন খানের আত্মহত্যাটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। মহসিন খান তার মৃত্যুর খবর জানাতেই ফেসবুক লাইভে এলেন। তার মানসিক যন্ত্রণার কথা দেশবাসীকে জানালেন। বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করলেন। অবশেষে ঠান্ডা মাথায় বৈধ অস্ত্র দিয়ে একটি অবৈধ কাজ করলেন। তার মৃত্যুর পর পরই এ লাইভটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়ে। আমার বিশ্বাস, দৃশ্যটি দেখে প্রতিটি দর্শকের বুক দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। মহসিন ফেসবুক লাইভে কথা বলছিলেন। আর তার সামনে ছিল একটি টেবিল। এ টেবিলে রাখা ছিল এক খন্ড কাফনের কাপড়। এ কাপড়ের উপর ছিল একটা চিরকুট। তাতে লেখা ছিল, এখানে কাফনের কাপড় রাখা আছে। আর এ কাপড় দিয়ে আমি উমরাহ পালন করেছিলাম। বুঝাই যাচ্ছে যে, এ আত্মহত্যাটি ছিল তার পূর্ব পরিকল্পিত। মরণের মুহূর্তে তার ফ্লাটের দরজা তিনি ভিতর থেকে আলগা রেখেছিলেন, যাতে করে তার মৃত্যুর পর উদ্ধারকর্মীরা সহজেই তাকে উদ্ধার করতে পারে। একথা তিনি একটি চিরকুটে লিখেও রেখেছিলেন।

ফেসবুক লাইভে আসার কারণে আমরা শুধুমাত্র একজন মহসিনের যন্ত্রণা দেখতে পেলাম। বাংলাদেশে এরকম মহসিনের সংখ্যা মোটেই কম নয়। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মহসিনের মতো প্রবীণ মানুষের সংখ্যা দুই কোটির উপরে। দেশে এ দুই কোটি প্রবীণ অসহনীয় যন্ত্রণা বুকে ধারণ করে বেঁচে আছেন। অমানবিক দুঃখ আর কষ্ট নিয়ে তারা দিন পার করছেন। প্রবীণদের এ দুঃখ ও কষ্টের পিছনে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকেই দায়ী বলে সমাজ বিজ্ঞানীগণ মনে করেন। কারণ, মহসিন যখন ছোট ছিলেন তখন প্রাচীন বাংলার সমাজ ব্যবস্থাটা বর্তমানের মতো ছিল না। প্রাচীন বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি ছিল সকলে মিলে একত্রে বসবাস। সে সময়ে ছিল একান্নবর্তী ও যৌথ সংসার। এ সংসারে সকলের মাঝে ছিল মায়া-মমতার এক নিবিড় বন্ধন। সেকালের যৌথ পরিবারগুলো ছিল নানান গল্পকথায় পরিপূর্ণ। সে গল্পকথায় মূল নায়ক ছিল মহসিনের মত বৃদ্ধ দাদারা। তখন এ দাদারাই ছিলেন পরিবারের সর্বময় কর্তা। তখন একজন দাদা পরিবারের সকলকেই বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখতেন। পারিবারিক সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন এই দাদা। সংসারের যাবতীয় ক্ষমতা দাদাদের হাতেই ন্যস্ত ছিল। গল্পকথার মঞ্চে নায়িকার অভিনয়ে থাকতেন দাদার স্ত্রী অর্থাৎ দাদি। আর অন্যান্য চরিত্রে থাকতো ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি ও পুত্রবধূ। সেকালের বাংলার চিরায়ত প্রথা ছিল পরিবারের বিবাহযোগ্য ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ প্রদান। ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ছেলের বউকে নিজের বাড়ি আনা হতো। আর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অন্যের সংসারে পাঠানো হতো। আর এ কাজটি সাধারণত এই দাদার হাতেই ন্যস্ত ছিল। নায়িকার অভিনয়ে থাকা দাদি ছাড়া নাতি-নাতনীকে বিয়ে দেয়ার কল্পনা ছিল এক অসম্ভব ব্যাপার। প্রাচীন বাংলার আরেকটি সংস্কৃতি ছিল রান্নাবান্না ও খাওয়া দাওয়া। রান্নাবান্নার এ দায়িত্ব ছিল পুত্রবধূদের উপর। এ পুত্রবধূরাই পরিবারের সকলের রান্নাবান্না ও খাওয়ানোর দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করতেন। পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সকল বাচ্চা বড়ো হতো দাদা-দাদির কোলে। দাদি, নাতি-নাতনীদের কোলে নিয়ে নানান গল্প শোনাতেন। দাদি ছিল পরিবারের সকল কচিকাঁচাদের গল্পবুড়ি। এসব কচিকাঁচারা দাদিদের কাছ থেকে সুয়ো-দুয়োরানীর গল্প শুনতো। ভূতের গল্প শুনতে শুনতে তারা দাদির কোলেই ঘুমিয়ে পড়তো। এভাবে কচিকাঁচারা দাদির স্নেহ ও পরশ পেয়ে বড় হয়ে উঠতো। সে সময় প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের সম্পর্ক ছিল একই সুতোয় গাঁথা।

কিন্তু বর্তমান আর সেরকম নাই। বর্তমান বাংলার নাম ডিজিটাল বাংলা। সেকালের গল্পকথা আজ সবই রূপকথায় পরিণত হয়েছে। প্রাচীন বাংলায় দাদা-দাদির কথাগুলো আজ শুধুই ইতিহাস। কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে যৌথ সংসারের ধারণা। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে গড়ে উঠেছে দয়া-মায়াহীন এক নির্জিব একক সমাজ। বর্তমানে গড়ে ওঠা প্রতিটি একক পরিবার যেন একেকটি স্বার্থবাজ পরিবার। অদৃশ্য জড় পদার্থ দিয়ে তৈরি বর্তমান পরিবারগুলো সম্পূর্ণভাবে হতাশায় নিমজ্জিত। একক পরিবারের পারিবারিক দেয়ালে কান রাখলে শোনা যাবে শুধু হাহাকার আর আর্তনাদ। বাড়ির ভিতরে নেই কোনো উৎসব; নেই শৈশবের দুরন্তপনা। সবই যেনো আটকে গেছে ছোট্ট এক বেলকনির গ্রিলে। যান্ত্রিক হয়ে গেছে সমাজ, সংসার এবং আত্মীয়তার বন্ধন। উৎসবের দিনেও সবাইকে একত্রে পাওয়া যায় না। আর শোকের দিনের কথাতো বৃদ্ধ মহসিন নিজের মুখেই বললেন! একান্নবর্তী সংসার ভেঙে গড়ে উঠা প্রতিটি একক পরিবার এখন যেন একেকটি পাখির বাসা। যেখানে নেই কোনো আনন্দ; নেই কচিকাঁচাদের হৈচৈ ও কিচিরমিচির। আনন্দ ও সঙ্গহীন বাড়িটিতে সৃষ্টি হয়েছে এক ভূতুড়ে পরিবেশ। নাগরিক জীবন এখন এক টুকরা বারান্দা আর এক চিলতে জানালার মধ্যেই আটকে গেছে। মুক্ত আকাশবিহীন একটি ছোট ফ্লাটে আটকে গেছে সকলের জীবন। বেহালা, তবলা, হারমোনিয়াম, গিটার আর সেতারার মধ্যে আটকে গেছে পারিবারিক স্বপ্ন। শহরে জন্ম নিয়ে কচিকাঁচারা আজ গ্রামের অপূর্ব সবুজ শ্যামল থেকে বঞ্চিত। বটবৃক্ষরুপি সেকালের বৃদ্ধরাও আজ সম্পর্কের বন্ধন থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত। পারিবারিক আনন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন এসব বৃদ্ধদের অবস্থান এখন দূর থেকে বহু দূরে। পরিবারকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ভালোবাসার ঝর্ণাধারা আজ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে ধুলোর আস্তরণে। গ্রাম-গঞ্জে আজও পড়ে আছে সেই চুনকামবিহীন যৌথ পরিবারের ভঙ্গুর আর বিমর্ষ অনুভূতি। যেখানে আছে হয়তো নিষ্ঠুর আগুনে পোড়ানো ইট দিয়ে তৈরি একটি দালান ঘর। সে ঘরে আছে ছোটো-বড়ো দুটো বা তিনটি কক্ষ। এ কক্ষগুলোতে বাস করেন শুধু একজন বুড়ো আর একজন বুড়ি। নিষ্ঠুর আগুনে পোড়ানো ইটের মতোই হয়ে গেছে এ দালানের ভিতর-বাহির। এ ইটের বাধনই যেনো ঘর থেকে বের করে দিয়েছে সকলের দয়া-মায়া, ভালোবাসা আর স্নেহ-প্রীতি।

আজকের যে বন্ধনটুকু দেখতে পাওয়া যায় তাতে তৈরি হয়েছে অনেকখানি কৃত্রিমতা। বর্তমানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া স্বামী-স্ত্রী দু’জনই শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারা গ্রাম থেকে শহরের উপকণ্ঠে একক পরিবার গড়ে তোলে। তারা বৃদ্ধ বাবা-মাকে দূরে রেখেই আলাদা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কালে-ভদ্রে ছেলের বাসায় বেড়াতে আসেন এ বুড়ো আর বুড়ি। সেকালে যে দাদা-দাদি ছিলেন বাড়ির কর্তা, আজকের সমাজে সেই দাদা-দাদি হয়ে পড়েছেন মেহমান। নাতি-নাতনিদের কাছে তারা পরিচিত হন মেহমান হিসেবেই। বর্তমান সংস্কৃতি তাদেরকে বাইরের লোক হিসেবেই পরিগণিত করে। ছোটরা তাই জানতেও পারেনা যে, দাদা-দাদি তাদের পরিবারের সদস্য। ফলে তাদের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে না; একে অপরের মাঝে গড়ে উঠছেনা মমত্ত্ববোধ, সহমর্মিতা ও মায়ার বন্ধন। সেকালে গ্রামের একজন মানুষের কাঁচা কিংবা কাঁচা-পাকা দু-একটি ছোট্ট ঘর ছিল। ঐ ঘরে একটি বারান্দা ছিল। এই ছোট্ট ঘরেই বাবা-মা ও ভাই-বোন একত্রে বসবাস করতো। চাচা-চাচি, ফুফু আর দাদা-দাদিও বাস করতো পাশাপাশি। দাদা-দাদির পরম স্নেহ পেতে কচিকাঁচারা তাদের কাছে গাদাগাদি হয়ে শুয়ে থাকতো। একারণে এখানে পারিবারিক বন্ধন গড়ে উঠেছিল অতি নিখুঁতভাবে। সেখানে অর্থের অভাব থাকলেও মায়া-মমতা ও ভালবাসার অভাব ছিল না। দুঃখ থাকলেও সেটা সবাই মিলেই ভাগ করে নিতো। কিন্তু আজ ভালোবাসা হয়েছে আর্টিফিসিয়াল। এটা আজ উপচে পড়েছে বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত মুঠোফোনে। পারিবারিক সম্পর্ক ও বন্ধন আছড়ে পড়েছে মোবাইল আর ল্যাপটপের মনিটরে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে গিয়েই সমাজে তৈরি হয়েছে নির্মমতা, অনুভূতিহীনতা ও নিষ্ঠুরতা। জন্ম নিয়েছে অশান্তি, কলহ ও অবিশ্বাস। এই শিকার হয়েছেন বৃদ্ধ মহসিন। বাংলায় ভেঙে যাওয়া লক্ষ-কোটি পরিবারের মধ্যে বেঁচে আছে অসংখ্য মহসিন। মহসিনের মৃত্যুই আমাদের জানিয়ে গেল বাংলার দুই কোটি প্রবীণের অন্তর জ্বালার আত্মকথা। অবশ্য যৌথ পরিবার ভাঙ্গনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আকাশ সংস্কৃতির নীল ঢেউ। পশ্চিমা বিশ্বের পরিবারহীনতা ও পিতৃত্বের গুরুত্বহীনতা এক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো একটি বিষয়। এছাড়া সীমাহীন অবাধ নারী স্বাধীনতা এবং অবাধ জন্মনিয়ন্ত্রণও এর জন্য কম দায়ী নয়। এসব অনৈতিক ভোগ-বিলাসের উন্মত্ততা বাংলার চিরায়ত অটুট বন্ধনকে ছিন্ন করে দিয়েছে। শহরায়ন, নগরায়ন ও উচ্চাভিলাষী শিল্পায়ন যৌথ পরিবার ভাঙ্গনের পথকে ত্বরান্বিত করেছে। অবশ্য এগুলো একটি দেশের সামাজিক পরিবর্তন। তবে দেশব্যাপী এই সামাজিক পরিবর্তনের ইতিবাচকতার উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। এ পরিবর্তনগুলোতে নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও যথাযথ পরিকল্পনাকে সর্বাগ্রে বিবেচনায় আনা দরকার। অন্যথায় দেশের মানুষ নির্জিব জড়পদার্থে পরিণত হবে। ফলে মানুষের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নামতে নামতে শূন্যের কোটায় চলে যাবে।

মহসিন খান ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। একসময় তার গাড়ি-বাড়ি সবই ছিল। তার সংসারটাও সুখে ভরপুর ছিল। তার সম্পদে ভাগ বসিয়ে অনেক বন্ধু সম্পদের পাহাড় গড়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজনরাও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আলোচিত পরিস্থিতির শিকার হয়ে মহসিন বড়ই একা হয়ে পড়েছিলেন। মহসিনের একাকিত্বের সুযোগে অতি কাছের বন্ধুবান্ধব তার অর্থসম্পদ তসরুপ করেছিল। অযত্ন-অবহেলার আগুন মহসিনের ভিতরটা ঝলসে দিয়েছিল। মহসিন তার এই কষ্টের কথা কাউকে ব্যক্ত করতে পারেন নি। মানসিক কষ্টে পীড়িত মহসিন দিনে দিনে জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিলেন। অবহেলিত মহসিনের কষ্টের কথা শোনার-বুঝার কেউ ছিল না। বর্তমান বাংলাদেশে এমন মহসিন একজনই বাস করে না। একজন মহসিনের আত্মহত্যা আমাদেরকে অসংখ্য মহসিনের কষ্টের কথা জানিয়ে গেলো। তারা নীরবে-নিভৃতে শুধু চোখের পানি ছাড়েন। তারা আল্লাহর কাছে ফিরে যাবার প্রহর গুনতে থাকেন। তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়েন।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন