Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায় সাঁতার প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:২৯ পিএম

দেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুহার কমাতে শিশুদের সাঁতার শেখাতে ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যা ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রকল্প ও এর ব্যয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ওই প্রকল্পের আওতায় সাঁতার শিখতে ২টি দলে বিদেশ যাবেন ১৬ কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। দেশে প্রশিক্ষণ নেবেন ৯৮০ কর্মকর্তা। তাদের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি টাকা।

বিষয়টি নিয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘এই ৫০ কোটি টাকা প্রতিজন ৫০০০ টাকা করে ১ লক্ষ বিপদগ্রস্ত মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয়া যাবে। আমার প্রস্তাব বেকার ১ লক্ষ তরুনকে এই টাকা ভাগ করে দিন। আর বিনিময়ে এই ১৬ কর্মকর্তাকে আমি বিনামূল্যে সাঁতার শিখিয়ে দেবো। এমন কিছু চোর বদমাশদের জনগণের হাতে ছেড়ে দেন, ওদের উচিত শিক্ষা দেয়া দরকার।’

মোহসিন কবিরের প্রশ্ন, ‘হরিলুট! সাঁতার শিখতে আবার বিদেশের মাটিতে কেন? আমরাতো খালে, বিলে, পুকুরে সাঁতার শিখেছি!’

রবিউল হকের অনুরোধ, ‘রান্না শিখতে বিদেশ- বালিশ আনতে বিদেশ- সাঁতার শিখতে বিদেশ- .... করতে বিদেশ- .... শেষে কীভাবে পরিস্কার হতে হয় তা শিখতে বিদেশ- লুঙ্গি পড়ার কৌশল শিখতে বিদেশ- সবকিছুতেই বিদেশ--- এসব তামাশা জনগণ আর দেখতে চায় না। দয়া করে জনগণকে মুক্তি দিয়ে নরকে গিয়ে এবার বিশ্রাম নেন।’

ধিক্কার জানিয়ে ফরহাদ হোসাইন লিখেছেন, ‘দ্রব্য মূল্য চরম উর্ধগতি বিপাকে সাধারণ মানুষ অথচ ওনাদের কোটি কোটি টাকা খরচ করে সাঁতার শিখতে যাওয়া কতটা যুক্তি? এই টাকা কার? এমন দেশে জন্ম নিয়ে আমি লজ্জিত, ধিক্কার জানাই এই দেশের শাসন ব্যবস্থাকে।’

মুর্তাজা আহমেদের প্রস্তাব, ‘সাঁতার শিখতে বিদেশ যাক তাতে সমস্যা নাই। সাঁতার শেখার পরে যেন তাদেরকে সাঁতার কাটিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’

ফিরোজ আলম লিখেছেন, ‘দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, বেকার সমস্যা প্রকট আকার সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশের নিন্ম ও মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষ। অথচ এসব সমস্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সাতার শেখার নামে দেশের জনগনের লাখ লাখ টাকা বিদেশে যাচ্ছে চলে, সাঁতার শেখার কাজটা কি আমগো দেশেই বসে দেশের সেরা সাতারুদের দিয়ে সম্পন্ন করা যায় না? আর সাঁতার শেখার নামে বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে কিছুটা হলে বেকার সমস্যা সমাধানের কাজটা কি করা যায় না?’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাঁতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ