পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বেশ কিছুদিন ধরে দেশি এবং মুষ্টিমেয় বিদেশি গণমাধ্যমে একটি কথা খুব প্রচার করা হচ্ছে। সেটা হলো, ভারত আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তাই বাংলাদেশ এবং ভারতের মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো শুধুমাত্র গুজবের পর্যায়েই নাই। কিছু কিছু মানুষকে দেখছি, এই ধরনের গুজবে বিশ্বাস করাও শুরু করেছেন। কলামিস্ট বা প্রবন্ধিকরা সাধারণত উপসংহার টানেন শেষে। অনেক যুক্তি-তর্ক এবং তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তারপর তারা আসল কথাটি বলে ফেলেন। আমি ঠিক সেটা করব না। আমার আলোচনার মাঝখানেই পাঠক বুঝে যাবেন যে, আমি কী বলতে চাচ্ছি। প্রথমেই আমি ইন্দো-রুশ, অর্থাৎ ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব। অবশ্য এর হাইফেনে আমেরিকা আসবে। আজকের আলোচনায় যদি স্থান সংকুলান হয়, তাহলে ইন্দো-বাংলা অর্থাৎ ভারত ও বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা করব। অবশ্যই হাইফেনে চীন এবং আমেরিকা আসবে।
ইন্দো-রুশ বলুন আর ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক বলুন, এসব সম্পর্কে খুব সূক্ষ্ণ এবং খুঁটিনাটিভাবে বুঝতে গেলে তার গোড়ায় যেতে হবে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, সোভিয়েত ডিক্টেটর জোসেফ স্ট্যালিন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী এবং পন্ডিত জহরলাল নেহেরুকে ভালো চোখে দেখতেন না। স্ট্যালিন মনে করতেন, গান্ধী এবং নেহেরু দুজনেই ব্রিটিশ ঘেঁষা। স্ট্যালিনের স্টাডিতে একটি ভুল ছিল। সেটা হলো, সেই সময় রাজনীতির তিন দিকপাল, গান্ধী, নেহরু এবং জিন্নাহ- তিনজনই ছিলেন ব্যারিস্টার এবং তিনজনই ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি করেছিলেন। যাইহোক, ইন্দো-সোভিয়েত সম্পর্কে যুগান্তকারী মোড় ঘুরান ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহরু। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে পন্ডিত নেহেরু সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেন। তখন স্ট্যালিন যুগের শেষ এবং ক্রুশ্চেভ যুগের শুরু। ঐ বছরের শেষের দিকে সোভিয়েত কর্ণধার নিকিতা ক্রুশ্চেভ (সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির ফার্স্ট সেক্রেটারি) ফিরতি ভারত সফরে আসেন। ক্রুশ্চেভের ভারত সফর ছিল ভারতের জন্য ঐতিহাসিক সাফল্যের বছর। ক্রুশ্চেভের এই সফরকে ভারতের জন্য ল্যান্ডমার্ক ভিজিট বলা যায়। কারণ, এই সফরকালেই সোভিয়েত নেতা ঘোষণা করেন যে, কাশ্মীরের ওপর রয়েছে ভারতের সার্বভৌমত্ব। অনুরূপভাবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, পর্তুগিজ কলোনি গোয়ার উপরেও রয়েছে ভারতের সার্বভৌমত্ব।
নিকিতা ক্রুশ্চেভের এই সফর চীন-সোভিয়েত এবং চীন-ভারত সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে বিপুল পরিমাণ সামরিক এবং অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করে। এত সাহায্য যা তারা তাদের ভাষায় ‘কমরেড ইন আর্মস’ বা তাদের জিগরি দোস্ত চীনকেও দেয়নি। তখন সোভিয়েত অস্ত্র ভাণ্ডারে অত্যন্ত আধুনিক জঙ্গিবিমান ছিল মিগ-২১। সোভিয়েত ইউনিয়ন মিগ-২১ জঙ্গি বিমানের প্রযুক্তি চীনের কাছে হস্তান্তর করেনি। কিন্তু ভারতের কাছে করল। অনুরূপভাবে মিগ-২১ যৌথ সহযোগিতায় ভারতে উৎপাদনের অনুমতিও ভারতকে দিল। কিন্তু সেই অনুমতি চীনকে দেয়নি।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি কোসিগিন। তৎকালীন সোভিয়েত অঙ্গরাজ্য এবং বর্তমানে স্বাধীন রাষ্ট্র তাসখন্দে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়।
ইন্দো-সোভিয়েত মৈত্রীর সর্বোচ্চ চূড়া ছিল ১৯৭১ সালের অগাস্ট মাসে ইন্দো-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমেরিকা এবং চীন পাকিস্তানকে নৈতিক সমর্থন দিচ্ছিল। এর মোকাবেলায় ভারতের জন্য রুশ সমর্থন জরুরি ছিল। এই মৈত্রী চুক্তির পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পরাজয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করে।
॥দুই॥
ইন্দো-সোভিয়েত দৃঢ় মৈত্রীর স্থপতি ছিলেন পন্ডিত নেহরু এবং তদীয় কন্যা ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর তদীয় পুত্র প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেন। অনুরূপভাবে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভ তৃতীয় বিশে^র মধ্যে প্রথম সফর করেন ভারত। জনতা পার্টি যখন ভারতের ক্ষমতায় আসে তখন তার নেতারা আমেরিকাসহ পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন, কিন্তু সোভিয়েতের বিনিময়ে নয়। এই সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে অতীতের চেয়েও বেশি করে সামরিক ও অর্থ সাহায্য দেয়। আজ ভারত সামরিকভাবে পৃথিবীর চতুর্থ শক্তিশালী রাষ্ট্র। ভারতকে চতুর্থ শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে বলতে গেলে একক অবদান সোভিয়েত ইউনিয়নের। কাশ্মীরে ভারতীয় দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখার পেছনে যেমন রয়েছে সোভিয়েত এবং বর্তমানে রুশ সমর্থন, তেমনি বাংলা-ভারত সম্পর্কের পেছনেও অব্যাহত সমর্থন রয়েছে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বর্তমান রাশিয়ার। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে স্থায়ী আসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন। আমেরিকারও এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি নাই। তবে চীনের বার বার ভেটো প্রয়োগের ফলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসনটির শিকা ভারতের ভাগ্যে এখনও ছেঁড়েনি।
গত ৬ ডিসেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ৬ ঘণ্টার জন্য ভারত সফরে আসেন। এসেই তিনি ঘোষণা করেন যে, ভারত পৃথিবীর একটি ‘মহাশক্তি’। আমেরিকার স্যাংশনের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে এস-৪০০ নামক সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয় করেছে এবং ইতোমধ্যেই সেগুলো লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করেছে। রুশ কালাশনিকভের সর্বশেষ সংস্করণ হলো একে-২০৩ রাইফেল। পুতিনের সংক্ষিপ্ত ভারত সফরে ভারতে ৬ লক্ষ একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদনের চুক্তি হয়েছে। ৬ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত ভারত সফরের সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে ছিলেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভারভ। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শঙ্কর জয় কিষানের সাথে বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের বৈঠকে একটি কথা খুব জোরের সাথে উল্লেখ করা হয়। সেটি হলো, বিগত ২/৩ দশকে বিশ^ তথা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। কিন্তু রুশ-ভারত বন্ধুত্ব যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, অর্থাৎ সোভিয়েত-ভারত বন্ধুত্ব, সেখানেই রয়ে গেছে। মাঝখানে আমেরিকা ঢুকে পড়েছে। তাতে ভারতের শক্তিশালী বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু রুশ-ভারত বন্ধুত্বে কোনো প্রভাব পড়েনি।
॥তিন॥
ইন্দো-আমেরিকান বা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের শেকড় সন্ধানের চেষ্টা করলাম। তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া গেল না। বরং উইকিপিডিয়া ভিজিট করে যা পাওয়া গেল তাতে দেখা গেল, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি প্রায় পুরোটাই নেতিবাচক। এর ভিত্তি হলো, কাউন্টার টেররিজম, পাকিস্তানের প্রতি ভারত-মার্কিন উভয়ের অবিশ^াস, চীনের বিরোধিতা এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি হওয়ার বিরোধিতা। ভারতের বিশাল মিলিটারি মেশিনে রাশিয়ার অংশ ৮০ শতাংশ। সেখানে ইসরাইলের অংশ ১০ শতাংশ। আমেরিকার অংশ ইসরাইলের চেয়েও কম। অবশ্য ২০২১ সাল থেকেই ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের কাছেই আমেরিকা সমরাস্ত্র বিক্রির চেষ্টা করছে।
॥চার॥
এবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ কি ভারতের নিকট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে? দূরে সরে কোথায় যাচ্ছে? চীনের দিকে কি ঝুঁকে পড়েছে? আগেই বলেছি যে, এই ধরনের একটি কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। যে সম্মানিত পাঠক এই লেখাটি পড়ছেন তিনিও হয়তো এই ধরনের কথা শুনেছেন। করোনাকালে মানুষজনের মধ্যে তেমন একটা দেখা সাক্ষাৎ হয় না। কারণ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আসা যাওয়াও তেমন একট হয় না। যেটুকু কথাবার্তা হয় সেটা টেলিফোনেই হয়। আমার কাছে ঐ ধরনের কথা কেউ বললে আমি বলি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এমন কোনো আলামত তো আমার চোখে পড়ে না। বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তেমন কোনো আলামতও আমার চোখে পড়ছে না। এই লেখার শুরুতেই বলেছি যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সঠিকভাবে বুঝতে হলে তাদের গোড়ায় যেতে হয়।
চীনের সাথে সম্পর্ক তো বেশি পুরাতন নয়। তারপরেও যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সেটি মূলত ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক। ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং ১৫টি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর, বিশেষ করে চলতি একাবিংশ শতাব্দীতে অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ঘটে। চীন আজ বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি। প্রথম শক্তি আমেরিকা। দ্বিতীয় চীন এবং তৃতীয় জাপান। বাংলাদেশের বৃহত্তম দুই দাতা সংস্থা হলো বিশ^ ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত বৃহত্তম দাতা দেশ হলো জাপান। দ্বিতীয় বৃহত্তম হলো আমেরিকা। চীন পাকিস্তানের একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। নাম চীন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর বা সিপিইসি। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলারেরও কম।
চীনের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতার বড় ক্ষেত্র হলো সামরিক। আমাদের মিলিটারি মেশিনের ট্যাঙ্ক, জঙ্গি বিমান, ফ্রিগেট এবং সাবমেরিন চীন থেকে সংগ্রহ করা। এখন পর্যন্ত যা দেখা গেছে, সেখানে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তারা নাক গলায় নাই। তাই সশস্ত্রবাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাদের প্রভাব দৃশ্যমান নয়। এমন একটি পটভূমিতে বাংলাদেশের ভারতকে ছেড়ে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণ দেখা যায় না।
॥পাঁচ॥
এবার বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক। প্রথমেই বলে রাখতে চাই যে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রাজনৈতিক। ভারতকে বাংলাদেশের যতটুকু প্রয়োজন, বাংলাদেশকে ভারতের প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক বেশি। এটা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেও ছিল, এখনও আছে। সকলেই জানেন, ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তি ভারত মেনে নিতে পারেনি। বিভক্তির পর দেখা গেল, ভারতের দুই প্রান্তে দুটি বৈরী ভূখণ্ড। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থের সম্মিলন ঘটে। বাংলাদেশ চেয়েছিল স্বাধীনতা। আর ভারত চেয়েছিল পাকিস্তানের বিভক্তি। পাকিস্তান (বর্তমান) ভারতের চেয়ে অনেক ছোট। সামরিকভাবেও ভারত পাকিস্তানের চেয়ে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি শক্তিশলী। তার ওপর ছিল মুক্তি বাহিনী। সহজেই পরাজিত হলো পাকিস্তান। স্বাধীন হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আমেরিকার দৃষ্টিতে ভারত-পাকিস্তানে ছিল শক্তিসাম্য। এবার ভারত আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এশিয়াতে এখন তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। সুতরাং ভারতের লক্ষ্য চীনের সমকক্ষ হয়ে ওঠা। সেদিকেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদা রক্ষার জন্যও বাংলাদেশকে ভারতের প্রয়োজন। পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তান বৈরী পারমাণবিক শক্তি। পূর্ব প্রান্তেও বাংলাদেশ যদি বৈরী হয় তাহলে বিশ^শক্তির পর্যায়ে ওঠা ভারতের জন্য কঠিন হবে। কারণ, বাংলাদেশ ভারতবান্ধব না হলে সেভেন সিস্টার্স অশান্ত হয়ে উঠবে।
সেই সুবর্ণ সুযোগটি ভারত পেয়েছে। সেভেন সিস্টার্সের বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করা গেছে। ৬০ বছর ধরে যা পাওয়া যায়নি সেই ট্রানজিট বা করিডোর ভারত পেয়েছে। আরও পেয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তর ও পূর্ব ভারতে ট্রানশিপমেন্ট চালু করার সুযোগ। এইসব সুযোগ সুবিধা যাতে চালু থাকে সেটি ভারতকে সুনিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করা চলবে না এবং কোনো দূরত্বও সৃষ্টি হয়নি।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।