পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কোনো প্রকার চক্রান্ত সহ্য করা হবে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করে বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের দাবিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন পীর সাহেব চরমোনাই।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে নতুন করে চক্রান্তের কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। এ নিয়ে যারা কথা বলছেন, তারা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। ধর্মীয় রাজনীতি না থাকলে এদেশ আরো বহুগুণে পিছিয়ে পড়ত। কাজেই কোনো কিছু ঘটলেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধাচরণকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম আছে বলেই এদেশে এখনো শান্তি আছে। মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক হলে ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছেন মুসলিম শাসকগণ। তারা প্রায় ৭০০ বছর এ উপমহাদেশ শাসন করেছেন, তাহলে হিন্দু থাকত না। কাজেই ইসলাম ও মুসলমানরা সবসময়ই শান্তিকামী। যারা অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : এদিকে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে রিট করার প্রতিবাদে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের ৯২ শতাংশ জনগণের ঈমান, আক্বিদা বিশ্বাস ও অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। তাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে। যা এদেশের জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। সুতরাং যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি বুঝতে সক্ষম নয়, যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম পরিচিতি বাদ দিতে চায়, যারা মুসলিম জাতিসত্তা মুছে দিতে চায় তারাই কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে।
তারা আরো বলেন, দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিরুদ্ধে এমন অসাংবিধানিক বক্তব্য মানায় না। কেউ ইচ্ছা করলেই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারবে না বলেও এসময় তিনি মন্তব্য করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করান। এতে কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসবে নির্ধারণ করা হয়। এই মৌলিক কাঠামো কারো পক্ষেই সংশোধন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হচ্ছে সংবিধানের প্রথম ভাগের অংশ (২ক)। আর সংবিধানের প্রথম ভাগ হলো সংশোধন অযোগ্য। সুতরাং কোনো দল বা গোষ্ঠী, এমনকি জাতীয় সংসদ চাইলেও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংশোধন করতে পারবে না। কেউ যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
তারা আরো বলেন, যারা বার বার রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের উচিত হবে সংবিধান ভালো করে পড়ে নেয়া অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ব্যাপারটি বুঝে নেয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।