Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই প্রথম তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ করছে আমিরাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৫০ পিএম

তুরস্কে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প বিভিন্ন খাত থেকে প্রত্যাশিত ১ কোটি ডলার বিনিয়োগের অংশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই প্রথম বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে।

এই বিশেষ খাতের পাশাপাশি উপসাগরীয় দেশটি তুরস্কের কৃষি, জ্বালানি, খাদ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। বিনিয়োগের সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের দু’দিনের সরকারী সফরের পরে এসেছে যেখানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথেও দেখা করেছিলেন। তুরস্কের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বোর্ডের (ডিইআইকে) চেয়ারপার্সন নেইল ওলপাক সাম্প্রতিক সফরের বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন এবং শক্তিশালী প্রক্রিয়া উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। ‘তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য তাদের আগ্রহ অনেক বেশি,’ তিনি বলেছিলেন।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইস্তাম্বুল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনগুলোর সাথে বৈঠক শুরু করবে। ‘প্রথমত, তারা আমাদের বলেছিল যে, আমাদের একটি খুব শক্তিশালী চুক্তি সেক্টর রয়েছে এবং তারা এর থেকে উপকৃত হতে চায়,’ ওলপাক বলেছেন। তিনি যোগ করেন, ‘ইউএই এর বেসরকারী খাত তুরস্ককে কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জড়িত করতে আগ্রহী। এটি নতুন ব্যবসা শুরু করা থেকে বা বিদ্যমানগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের আকারে হতে পারে। আমরা দেখেছি যে জ্বালানি, তথ্য, খাদ্য এবং কৃষিতে তাদের আগ্রহ সামনে এসেছে।’

ডিইআইকে তুরস্ক-ইউএই বিজনেস কাউন্সিলের প্রধান তেভফিক ওজ ইতিমধ্যে, জ্বালানি, রিয়েল এস্টেট, কৃষি, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সহ ক্ষেত্রগুলোকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন, যেখানে প্রতিরক্ষা শিল্প নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘এই বছর, আমরা বিনিয়োগগুলো দেখতে পাচ্ছি যা তুর্কি কোম্পানির জ্ঞান এবং তাদের আর্থিক শক্তিকে একত্রিত করে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা শিল্প হল সহযোগিতার সবচেয়ে কাছের খাত। পুরো প্রক্রিয়াটি দুই পক্ষের জন্যই লাভ-লাভ যুক্তির সাথে এগিয়ে চলেছে,’ তিনি জোর দিয়ে বলেন।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একটি বিশাল গতি অর্জন করেছে, দেশটিকে কেবল তার দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে নয়, বিশ্বব্যাপী রফতানি করতে সক্ষম করেছে। তুরস্ক বর্তমানে ১৭০টি দেশে প্রতিরক্ষা শিল্প রফতানি করে। এর মধ্যে রয়েছে ইউএভি, সশস্ত্র ইউএভি, সাঁজোয়া এবং সমুদ্রিক যান। এগুলো সহ রফতানিকৃত পণ্যের সংখ্যা ২২৮ এ পৌঁছেছে বলে প্রেসিডেন্সি অফ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএসবি) চেয়ারপারসন ইসমাইল ডেমির ডেইলি সাবাহকে জানুয়ারীর শেষের দিকে বলেছেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তুরস্কের সশস্ত্র ইউএভিগুলো সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

তুর্কি ড্রোনগুলো, বিশেষ করে, সিরিয়া, লিবিয়া এবং আজারবাইজানে মোতায়েন করার পর থেকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যেগুলো বিশ্বজুড়ে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। আঙ্কারা আশা করে যে, এই সাফল্যগুলি ইউএভি’র একটি প্রধান রফতানিকারক হওয়ার জন্য ব্যবহার করবে৷ উল্রেখ্য, দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে এরদোগানের সফরের সময় তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩টি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমিরাত

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ