Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দূর্নীতির মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাবকে কারাদন্ড

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৭ পিএম

 নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরমেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করেছে যশোর স্পেশাল জজ আদালত। নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দূর্নীতি মামলায় এ রায় দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দূর্নীতি দমন কমিশনের পিপি এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
তৎকালিন পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও কমিশনার ইঞ্জিনিয়ারসহ ১১ জনকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করেছে যশোর স্পেশাল জজ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো নড়াইল পৌরসভার মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, কাউন্সিলর তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, ইজারাদার রাধে কুন্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু, ইজারাদার জিল্লুর রহমান, ইজারাদার এইচএম সোহেল রানা, তৎকালিন পৌর সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বাস ভঙ্গ করে নীতিমালা ২০০২ এর ৩(ঘ) অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে আসামীরা হাট বাজার ইজারা দেয় ১৪১২(বাংলা) সালে। আসামীরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা ও ১৪১১ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করে। সর্বমোট ১২ লাখ ২২ শ ৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে আসামীরা আত্মসাত করে।
এব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দূর্ণীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। পরবর্তিতে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। সে মামলায় সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

একইসাথে আত্মসাতকৃত ১২ লাখ ২২ শ ৮০ টাকার মধ্যে আসামী জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১শ ২০ টাকা, রাধেকুন্ডু ৩ লাখ ৫০ হাজার, রকিবুল ইসলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার, ইজাজুল হাসান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯শ’ টাকা পরিশোধ করবে। সাজাপ্রাপ্ত এজাজুল হাসান, জিল্লুর রহমান ও রকিবুল হাসান বাদে সকলেই কারাগারে আটক আছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাদন্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ